নিজস্ব প্রতিবেদন- আমফান ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বহু মানুষ ঘরহারা। ত্রাণসামগ্রী পেয়ে এবং সরকারি আশ্রয়ে থেকে সাময়িকভাবে জীবন কাটছে। কিন্তু বহু মানুষ বুঝতে পারছেন না তাঁদের ভবিষ্যত আসলে কী! নতুন করে বাড়ি তৈরির সামর্থ নেই বেশিরভাগ মানুষের। ভিটেমাটি হারিয়ে অনেক মানুষ সহায়সম্বলহীন হয়ে পড়েছেন। টাকা-পয়সা, গয়নাগাটি কিছুই হাতে নেই। চলবে কী করে! এমন ভয়াবহ সময় বাংলাদেশের বহু মানুষ খাবার জলটুকুও পাচ্ছেন না। আমফান তাণ্ডব চালিয়ে সব লন্ডভন্ড করেছে অনেকদিন হল। কিন্তু এখনও উপকূলবর্তী অঞ্চলে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়নি। ঘূর্ণঝড়ের তাণ্ডবের ক্ষত নিয়ে কোনওরকম বেঁচে রয়েছেন দুই বাংলার অসংখ্য মানুষ। সরকার সাহায্য না করলে কী করে ঘুরে দাঁড়াবেন বুঝে পাচ্ছেন না বহু মানুষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাংলাদেশের একাধিক জেলাতেও তাণ্ডব চালিয়েছে আমফান। বিশেষ করে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বহু এলাকা তনছ হয়ে রয়েছে। ফলে খাবার জলের চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে গত কয়েকদিন ধরে। এমন দুর্যোগের সময় দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছেন বাংলাদেশের ক্রিকোররা। গত কয়েকদিন ধরে আমফানে ক্ষতিগ্রস্থ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষদের খাবার জল সবরাহের ব্যবস্থা করেছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। তামিম ইকবাল, মুশফিকুররা আমফানে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের বাড়ি তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন আগেই। এছাড়াও নানারকমভাবে সাহায্য করে দুঃস্থ মানুষদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন তাঁরা। এবার রোজ এক হাজার মানুষের খাবার জলের সঙ্কট মেটাতে তাঁরা উদ্যোগ নিয়েছেন। একটি সংস্থার সহযোগিতায় বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষদের খাবার জল পৌঁছে দিচ্ছেন তামিমরা।


আরও পড়ুন- হিন্দু ধর্মাবলম্বী বলে পাকিস্তানে অবহেলিত, ভারতীয় নাগরিকত্ব নেবেন? কী বললেন দানিশ কানেরিয়া!


বাংলাদেশের ওয়ান-ডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ''করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগের মধ্যেই কিছুদিন আগে বাংলাদেশে আঘাত করেছিল ঘূর্ণিঝড় আম্পান। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে অনেক ক্ষতি হয়েছে এই ঝড়ে। আমরা খবর পেয়েছিলাম, সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অনেক মানুষ খাবার জলের তীব্র সঙ্কটে ভুগছে। এরপর জাতীয় ক্রিকেট দলের পক্ষ থেকে ওই অঞ্চলের মানুষের জন্য সুপেয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিদিন এক হাজার মানুষকে খাবার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে এখন। এই উদ্যোগে আমরা পাশে পেয়েছি স্থানীয় কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও দারুণ উদ্যমী কিছু মানুষকে। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছেন এবং অসহায় মানুষের দুয়ারে খাবার জল পৌঁছে দিচ্ছেন। তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। শ্যামনগরের মানুষের দুর্দশার কথা বলার পর আমাদের দলের সবাই খুব দ্রুত স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এসেছে। সেজন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।''