নিজস্ব প্রতিবেদন— সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ একাধিক তৃতীয় বিশ্বের দেশে বহু মানুষ অতি কষ্টে দিন গুজরান করেন। সারাদিনের উপার্জন দিয়ে রাতে বাড়ি ফেরার সময় খাবার কিন আনেন। তার পর সেই খাবার পরিবারের সবার সঙ্গে ভাগ করে খান। এমন মানুষও প্রচুর। আর এই অতর্কিত লকডাউনে সব থেকে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরাই। একে তো কাজ নেই। হাতে কোনও জমানো টাকা নেই। সকালে ওঠার পর থেকে চিন্তা, আজ খাবেন কী! এমন মানুষদের জন্য কি সরকার ভাবছে! সরকারি ত্রাণসামগ্রী কি সঠিক সময়ে এই সমস্ত হতদরিদ্র মানুষগুলোর বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে! কে তার খবর রাখে! দুস্থরা যে অন্ধকারে ছিলেন সেখানেই রয়েছেন। এক দিন, দুদিন, তিনদিন... না খেয়েই দিন কেটে যাচ্ছে অগুণতি মানুষের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দুস্থ ও হতদরিদ্র মানুষের খোঁজ নেওয়ার মতো লোক কম। তবে কেউ কেউ রয়েছেন যাঁরা তাঁদের জন্য চিন্তাটুকু করেন। বাংলাদেশের পেসার রুবেল হোসেন সেরকমই একজন। নিজের উদ্যোগে মাঠে নেমে দুস্থ মানুষদের খাবার বিলি করেছেন তিনি। করোনায় লকডাউনের সময় তিনি পাশে থেকেছেন তাঁর দেশের অনেক দুস্থ মানুষের। মাঠের বাইরেও বাংলাদেশের এই পেসার মানুষের হৃদয় জিতে নিচ্ছেন। আর সেই তিনি গরীব মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে সরকারের মুখের উপর প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতেও ভয় পান না। তাঁর সাফ প্রশ্ন, এমন পরিস্থিতিতে কেন সরকারি অনুদান বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে দেওয়া হবে না! এই সময় সরকার দুস্থ মানুষদের পাশে না দাঁড়ালে আর কবে দাঁড়াবে!


আরও পড়ুন— করোনা মোকাবিলায় স্পোর্টস কোম্পানিগুলি তৈরি করছে চিকিৎসার সরঞ্জাম


ফেসবুক পোস্টে রুবেল লিখেছেন, সমালোচনা বাদ দিন এখন। দেশ এখন সংকটময় মুহূর্তে দাঁড়িয়ে। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এই দেশ আপনার আমার সকলের। নিম্ন আয়ের মানুষদের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে হবে। ভোটের সময় ভোটের স্লিপ যদি ঘরে ঘরে গিয়ে দিয়ে আসতে পারেন, তাহলে সরকারি অনুদান ঘরে ঘরে গিয়ে দিয়ে আসা যায় না কেন! ভারত হোক বা বাংলাদেশ, দুই দেশের বহু তারকা এই কঠিন সময়ে অনুদান দিয়ে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু সেইসব অনুদানের দিশা কী, তা কেউ জানে না। দুস্থ মানুষদের কল্যাণে আদৌ সেইসব অনুদান ব্যবহার করা হয় কি না, তা নিয়েও অনেক সময় প্রশ্ন থেকেই যায়।