নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্ববাসীর মনে এখন অনেক প্রশ্নের উদয় হচ্ছে। কবে পরিস্থিতি আবার আগের মতো স্বাভাবিক হবে! কবে বিদায় নেবে করোনাভাইরাস! সংক্রমণ কমতে শুরু করবে কবে থেকে! লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতিতে কতটা ক্ষতির মুখে পড়তে হবে সবাইকে! করোনা পর্ব মিটলে পৃথিবী কি আর আগের মতো থাকবে! এত প্রশ্নের উত্তর পাওয়া এখনই সম্ভব নয়। কারণ করোনা পর্ব কবে নাগাদ মিটবে তা নিয়ে কেউই কিছু বলতে পারছেন না। লকডাউন উঠলেও যে সব কিছু স্বাভাবিক থাকবে না সেটা বলাই যায়। আর এই ব্যাপক ক্ষতির ঢেউ গিয়ে পড়বে খেলার জগতেও। এমনিতেই করোনার প্রভাবে বিশ্বের প্রায় সব জায়গায় খেলাধূলা বন্ধ। বহু জনপ্রিয় লিগ স্থগিত রেখেছে কর্তৃপক্ষ। স্থগিত হয়েছে বিশ্বের সব থেকে জনপ্রিয় টি—২০ টুর্নামেন্ট আইপিএল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এবার জানা যাচ্ছে, করোনা পর্ব দীর্ঘায়িত হলে দেউলিয়া হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে অনেক ক্রিকেট বোর্ডের। বিসিসিআই, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের মতো সংস্থাগুলি হয়তো নিজেদের সামলে নেবে। কিন্তু তুলনামূলক কম সচ্ছল বোর্ডগুলির পক্ষে এই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সামালা দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। ফলে অবধারিতভাবে কর্মী ছাটাই হবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কর্মীদের বেতন কমানো হতে পারে। তাতেও কি সমস্যা মিটবে! বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) কিংবা শ্রীলংকা ক্রিকেট (এসএলসি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড (ডব্লিউআইসিবি)—র মতো বোর্ডগুলি দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন— তাবলিঘি জামাতকে আক্রমণ করেছিলেন ভারতীয় কুস্তিগীর, দঙ্গল লেগে গেল স্বরা ভাস্করের সঙ্গে


২০১৪ সালে প্রায় ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বিশ্ব সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করেছিল বিসিবি। চলতি মাসে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা এখন অনিশ্চিত। অন্যদিকে নিজেদের দেশে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার কথা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। এই সিরিজ থেকে লাভবান হতে পারত তারা। কিন্তু সিরিজের ভবিষ্যত এখন অন্ধকার। আগামী ৬ মাস ক্রিকেট বন্ধ থাকলে কম স্বচ্ছল বোর্ডগুলি বড়সড় সমস্যার মুখে পড়তে পারে। গত জানুয়ারিতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে একটি ম্যাচ সম্প্রচারক চ্যানেলের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত নতুন চুক্তি হয়নি। আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ হওয়ার কথা। সেটাও এবার বাতিল হওয়ার পথে। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) মাঝপথে বন্ধ হয়েছে। এশিয়া কাপের ভবিষ্যত কী হবে তা নিয়ে চিন্তিত পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এপ্রিলে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন স্পনসর ও সম্প্রচারক খুঁজে না পেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অবস্থাও খারাপ হতে পারে। চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় এবং অন্যান্য স্টাফদের বেতন মেটাতে সব থেকে সমস্যায় পড়বে বোর্ডগুলি। একে তো আইপিএল স্থগিত। তার উপর টি—২০ বিশ্বকাপও যদি না হয় তা হলে তো পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।