COVID-19: প্রতিষেধক নিচ্ছেন ক্রিকেটাররা, দ্বিতীয় ডোজ কি ইংল্যান্ডে? উত্তরের খোঁজে BCCI!
করোনা (COVID-19) আবহে প্রায় চার মাসের বিদেশ সফরে যাচ্ছে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) অ্যান্ড কোং।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা (COVID-19) আবহে প্রায় চার মাসের বিদেশ সফরে যাচ্ছে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) অ্যান্ড কোং। এই পরিস্থিতিতে অবশ্যই কোহলিদের মেনে চলতে হবে কঠোর নিয়মকানুন। তার মধ্যে রয়েছে আইসোলেশন, করোনা পরীক্ষা ও কোভিড প্রতিষেধক। বিসিসিআই (BCCI) জানিয়ে দিয়েছে যে, এবার দেশ-বিদেশ মিলিয়ে মোট ১৮ দিনের কোয়ারেন্টিন পর্ব বিরাটদের। এর সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বারবার চলতে থাকবে করোনা পরীক্ষা। কিন্তু প্রতিষেধকের ব্যাপারে এখনও কিছু খোলসা করে বলেনি বিসিসিআই।
গত ১ মে থেকেই ভারতে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে করোনা টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এই প্রসঙ্গেই বিসিসিআই (BCCI) প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) বলছেন, "টিমের সকলের হাতে এখন সময় রয়েছে। প্রতিটি রাজ্য সরকারই টিকা নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। ফলে তাঁরা নিজেরা টিকা দিয়ে নিতে পারবে।" দেখা গিয়েছে যে, শিখর ধাওয়ান ও অজিঙ্কা রাহানের মতো ক্রিকেটাররা নিজেদের উদ্যোগেই টিকা নিয়েছেন। ধাওয়ান ইংল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন না ঠিকই, কিন্তু রাহানে যাচ্ছেন। ক্রিকেটাররা সকলেই করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান রাখতে হবে ৪২ থেকে ৬০ দিনের। দেখতে গেলে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়ার সময় কোহলিরা থাকবেন ব্রিটিশ মুলুকে। তাহলে কী হবে!
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ড সফরের জন্য দেশ-বিদেশ মিলিয়ে ১৮ দিনের নিভৃতবাস টিম ইন্ডিয়ার
টিকা নেওয়ার প্রসঙ্গে দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া বোর্ডের এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলেছে, "ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের কোভিশিল্ড নেওয়ার পরামর্শই দেওয়া হয়েছে। কারণ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা লন্ডনজাত। ফলে ভারত থেকে প্রথম ডোজ নিয়ে এসে এখানে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে। কোভিশিল্ড ছাড়া অন্য কোনও টিকা নিলে ইংল্যান্ডে কাজে আসবে না।"লন্ডনে যাওয়ার আগে কোহলিদের রোডম্যাপ নিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআই কথা বলেছিল বোর্ডের এক আধিকারিকের সঙ্গে। তিনি বলছেন, "ভারত সরকার এখন ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকে করোনা টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে। বিসিসিআই এই নিয়ে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কথা বলছে। চেষ্টা করছি, খেলোয়াড়দের দ্বিতীয় ডোজের টিকা ইংল্যান্ডে গিয়ে দেওয়ানোর ব্যাপারটা যাতে নিশ্চিত করা যায়। যদি সেদেশের সরকার ইংল্যান্ডে গিয়ে টিকাকরণের অনুমোদন না দেয়, তাহলে আমাদেরই ভারত থেকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা সঙ্গে করে নিয়ে যেতে হবে। দেখা যাক আগামী দিনে বিষয়টা কী দাঁড়ায়!"