নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা (COVID-19) বিধ্বস্ত ভারতে আইপিএল আয়োজন করার যৌক্তিকতা নিয়ে অনেক আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। এমনকী এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে টুর্নামেন্ট বাতিল করার কথাও বলেছেন অনেকে। কোভিডের হাত থেকে কিন্তু আইপিএল রেহাই পায়নি। সম্প্রতি কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) এবং চেন্নাই সুপার কিংসের (CSK) অন্দরমহলেও হানা দিয়েছে মারণ ভাইরাস। আক্রান্ত হয়েছেন খেলোয়াড় থেকে সাপোর্ট স্টাফ। প্রশ্ন উঠেছে জৈব বলয়ের সুরক্ষা নিয়েও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেখতে গেলে করোনা কাঁপুনিতে আইপিএল কাঁপছে। বিসিসিআই (BCCCI) আগেই জানিয়েছিল যে, আইপিএল হবেই। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাদের অবস্থানেই অনড় আছে। খেলা হবে...তবে বিসিসিআই ভিন রাজ্য ঘুরে আইপিএল করার ভাবনা থেকে সরে আসছে। তারা চাইছে টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হোক এক রাজ্যেই। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) বোর্ড চাইছে এবার মুম্বইতে হোক আইপিএল। এমনকী ফাইনাল ম্যাচও পিছিয়ে দিতে চাইছে বিসিসিআই। ৩০ মে-র বদলে জুনের শুরুর দিকে করার ভাবনা তাদের। এমনটাই রিপোর্ট ইএসপিএনক্রিকইনফো-র।  


চলতি আইপিএলে সপ্তাহে একটা বা দু'টো করে ডাবলহেডার (একই দিনে জোড়া ম্যাচ) হয়। সেক্ষেত্রে আইপিএল ঠিক সময় শেষ করার জন্য বিসিসিআই চাইছে ডাবলহেডারের সংখ্যাটা বাড়িয়ে নতুন করে সূচি বানাতে। মুম্বইয়ে তিনটি স্টেডিয়াম আইপিএলের জন্য বরাদ্দ। ওয়াংখেড়ে, ডিওয়াই পাটিল ও ব্রেবোর্ন। এর মধ্যে মুম্বই লেগে ১০টি ম্যাচ ওয়াংখেড়েতে খেলা হয়েছে। বাকি দু'টি ভেন্যুতে প্র্যাকটিস হয়েছে। ডিওয়াই পাটিল ও ব্রেবোর্নকে ম্যাচ ফিট করা ছাড়াও হোটেল বুকিং, বিমানের টিকিট বুকিং ও বায়ো বাবল সুরক্ষার মতো ইস্যুগুলো নিয়ে ভাবিত বিসিসিআই। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বোর্ডের এক আধিকারিক বলছেন, "স্টেডিয়াম, হোটেল বুকিং ও বিমান সফরের মতো বিষয়গুলো বিসিসিআই-এর কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। দক্ষিণ মুম্বইতে কোভিড সেন্টারের জন্য হোটেল পাওয়াটা বিরাট চিন্তার বিষয় আমাদের। এটা নিয়েই আমরা কাছ করছি। বিমান সফরের বিষয়টা নিয়ে খুব ভাল করে ভাবতে হবে। বিমানবন্দরের প্রবেশ ও বাহির পথটাও কিন্তু ভাবাচ্ছে আমাদের।"


করোনা কালে আইপিএল আয়োজনের জন্য মুম্বই খুব একটা নিরাপদ শহর নয়। যদিও সংক্রমণের সংখ্যা সেখানে কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২,৬২৪ জন। যা গত ৫ সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই কম। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী বাণিজ্যনগরীতে রোজ ৩৮,০০০ থেকে ৫০,০০০ টেস্ট হয়ে থাকে।গত ২৪ ঘণ্টায় মুম্বইতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭৮ জনের। মোট মৃতের সংখ্যা ১৩,৩৭২। এখনও পর্যন্ত মুম্বইতে মোট আক্রান্ত হয়েছে ৬,৫৮,৬২১।