নিজস্ব প্রতিনিধি : ব্যতিক্রমী উত্থান বললে ভুল বলা হবে। সঠিক পর্যবেক্ষণ ও সুশৃঙ্খল অনুশীলনের মধ্যে থাকলে এমন উত্থান অবশ্যম্ভাবী। সেটাই প্রমাণ করে যাচ্ছেন বাংলার শুটার মেহুলি ঘোষ। জয়দীপ কর্মকার শুটিং অ্যাকাডেমির এই মেয়ে এখন একাগ্রতা ও ধারাবাহিকতার উদাহরণ হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে একের পর এক সাফল্য। মেহুলি ঘোষ যেন বন্দুক হাতে একের পর এক লক্ষ্যভেদে নেমেছেন। আর সেই প্রক্রিয়ায় চলতে চলতে এবার আরও এক সাফল্য জুড়ল তাঁর নামের পাশে। খেলো ইন্ডিয়া- অনূর্ধ্ব-২১ ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন বাংলার মেহুলি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  ২০১৯ আইপিএল থেকে বাদ পাণ্ডিয়া! সমর্থকদের গণদাবিতে চাপ বাড়ছে মুম্বইয়ে


ইভেন্ট-এর শুরু থেকে দাপট বজায় রেখেছিলেন বাংলার শুটার। যোগ্যতা অর্জন পর্বে ৬২৯.৪ পয়েন্ট স্কোর করেন তিনি। প্রথম হন। ফাইনালে নেমেও একইরকম ধারাবাহিক ছিলেন তিনি। কখনও ১০.৫, কখনও তার থেকেও বেশি পয়েন্টে শুট করে সোনার পদক জেতেন তিনি। ফাইনালে ২৫২.১ স্কোর করে চ্যাম্পিয়ন হন বাংলার শুটার। বাংলার তো বটেই, ভারতীয় শুটিংয়েও এখন অন্যতম সেরা মুখ হয়ে উঠছেন মেহুলি। যেভাবে উত্থান, তাতে বাংলার শুটিংকেও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেন তিনি। সঙ্গে অবশ্যই যোগ্য সঙ্গতে রয়েছেন তাঁর কোচ তথা মেন্টর জয়দীপ কর্মকার। 


আরও পড়ুন-  এক বছর পর ধোনির হাফ-সেঞ্চুরি, সিডনিতে তবু হারের মুখ দেখল ভারত


খেলা ই্ডিয়া স্কুল গেমস-এর অনূর্ধ্ব-২১ ট্র্যাপ শুটিংয়ে ফেভারিট হয়ে নেমেছিলেন এশিয়ান গেমসে রূপোজয়ী লক্ষ্য লক্ষ্য শেওরান। যোগ্যতা অর্জন পর্বে তিনিই প্রথম হয়েছিলেন। তবে ফাইনালে উঠে খেই হারিয়ে ফেললেন তিনি। একই ইভেন্টে উড়ান শুরু করলেন ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌরের ছেলে মানবাদিত্য। যোগ্যতা অর্জন পর্বে খুব একটা ভাল পয়েন্ট করেননি তিনি। ফাইনালেও শুরুর দিকে হোঁচট খেয়েছিলেন। কিন্তু শেষটা ভাল করে রাখলেন। ফাইনালে করলেন ৩৮ পয়েন্ট। সোনা জিতলেন। ২০০৪ এথেন্স অলিম্পিকের ডাবল ট্র্যাপ শুটিংয়ে রুপো জিতে ইতিহাস লিখেছিলেন কর্নেল রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর। খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্পও তাঁরই লালন-পালনে দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রকে নয়া দিশা দেখাচ্ছে। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই হাঁটা শুরু করেছিলেন মানবাদিত্য। 'বাপ কা বেটা' হয়ে ওঠার লক্ষ্যে তিনি অবিচল।