নিজস্ব প্রতিবেদন- ফিটনেস ফ্রিক। তাঁকে এই নামেই ডাকেন অনেকে। বিরাট কোহলি নিজের ফিটনেস নিয়ে খুতখুতে। তিনি ফিটনেস ধরে রাখতে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। সাধের বাটার চিকেন ছেড়েছেন। এখন তো বিরাট কোহলি আমিষ খাবার খান না। সম্পূর্ণ নিরামিশ। নিজেকে স্লিম-ট্রিম করে গড়ে তুলতে কোহলিকে অনেক কসরত করতে হয়েছে। ভারতীয় দলের অধিনায়ক বারবার বলেছেন, ফিট থাকতে গেলে শুধু এক্সারসাইজ করে গেলে চলবে না। সেইসঙ্গে সঠিক ডায়েট মেনটেইন করতে হবে। আর তাই বারবার খাদ্যাভাসের দিকে নজর দিতে বলেন কোহলি। সঠিক সময়ে খাওয়া ও সঠিক খাবার খাওয়া। ফিটনেসের আসল মন্ত্র।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজকের কোহলি আর ছোটবেলার বিরাটের মধ্যে বিস্তর ফারাক। আগে বিরাট এতটা ফিট ছিলেন না। তাঁর গাল ফোলা ছিল। শরীরে মেদ জমে ছিল। ধীরে ধীরে তিনি বুঝতে পারেন, ক্রিকেটবিশ্বে রাজত্ব করতে হলে ফিটনেস বড় শর্ত। তার পর থেকেই কোহলি নিজেকে গড়ে তুলতে শুরু করেন। ফিটনেস তাঁর খেলার উপর প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলতে শুরু করে। নিজের ফিটনেস নিয়ে কোহলি কথা বলছিলেন মায়াঙ্ক আগরওয়ালের সঙ্গে। সেই ভিডিয়ো বিসিসিআই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। সেখানে কোহলি বলেছেন, অনেক সময় মায়ের ভালবাসার আবদারের জন্য তিনি ফিট থাকতে পারেননি। ছোটবেলায় তাঁকে মোটা করে রাখার জন্য তাঁর মা সব সময় চেষ্টা করতেন। বিরাট জানিয়েছেন, আসলে সব মায়েরাই এমন হয়। ছেলেকে মোটা না দেখালেই তাকে দুর্বল মনে করে মায়েরা।


আরও পড়ুন-  সচিনের পর অন্যদের টপকে কীভাবে অধিনায়ক হয়েছিলেন সৌরভ?


কোহলি বলছিলেন, "মোটা দেখাচ্ছে না আমাকে? মানে আমি অসুস্থ! মাকে এখনও কিছুতেই বোঝাতে পারি না যে আমি ফিট। মায়েরা ভালবাসা দিয়ে বিচার করে। তাদের পক্ষে পেশাদারিত্বের প্রয়োজন বোঝা সম্ভব নয়। মা আমাকে খালি বলত, আমি নাকি দুর্বল হয়ে পড়ছি। মায়ের চোখে কোনো বাচ্চাকে মোটা না দেখালেই সে দুর্বল। তাই ছোট থেকে আমাকে সব সময় মোটা করে রাখার চেষ্টা করত মা। এখনও প্রায় মাকে রোজ বোঝাতে হয় যে আমি যেটা করছি সেটা ফিটনেস ধরে রাখার জন্য। আমি অসুস্থ নই। আগে মাঝেমধ্যে খুব রাগ হত। আবার হাসিও পেত। মা খালি বলত তোকে তো অসুস্থ মনে হচ্ছে। আমি হো হো করে হেসে ফেলতাম মাঝে মধ্যে।"