Brendan Taylor: স্পট-ফিক্সিং নিয়ে বিস্ফোরক টেলর, বলছেন ভারতীয় ব্যবসায়ী করেছিলেন ব্ল্যাকমেইল!
সেদিন কোকেন নিয়েই বিপাকে পড়েন ব্র্য়ান্ডন টেলর!
নিজস্ব প্রতিবেদন: জিম্বাবোয়ের প্রাক্তন অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর (Brendan Taylor) এবার মুখ খুললেন স্পট-ফিক্সিং নিয়ে। সোমবার টুইটারে লম্বা চার পাতার বিবৃতি দিয়ে তিনি জানান যে, এক ভারতীয় ব্যবসায়ী তাঁকে ম্য়াচ গড়াপেটা করার জন্য় ব্ল্যাকমেইল করেছিলেন! এই বিষয়ে আইসিসি-র দুর্নীতি দমন শাখার কাছে জানাতে চার মাস দেরি করায় তাঁকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে একাধিক বছরের জন্য় নির্বাসিত হতে হয়েছে! গতবছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন জিম্বাবোয়ের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটার। টেলর জানিয়েছেন যে, বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা যে শাস্তি তাঁকে দেবেন, তিনি তা মাথা পেতেই নেবেন।
আরও পড়ুন: Surajit Sengupta: করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি কিংবদন্তি ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত
টেলর বলছেন এক প্রকার পরিস্থিতির চাপে পড়েই তিনি স্পট-ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। টেলর লেখেন," আমি কিছুটা সতর্ক ছিলাম। এটা অস্বীকার করতে পারব না। এমনট একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম যে, জিম্বাবোয়ে তখন আমাদের ছ'মাস ধরে টাকা দেয়নি। বুঝতেও পারছিলাম না যে, জিম্বাবোয়ে আদৌ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলবে কিনা! আমি তখন ভারতে আসি। একটি হোটেলে নৈশভোজে ডাকা হয়েছিল। আমরা ড্রিঙ্কস নিয়েছিলাম। ওই সন্ধ্যায় প্রকাশ্যেই আমাকে কোকেনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আমি বোকার মতো সেই টোপ গ্রহণ করি। আমি এখন ভাবি ওই ভারতীয় ব্যবসায়ী ও বাকিরা আমার সঙ্গে কীভাবে খেলেছিল। হোটেল রুমে আমার কোকেন নেওয়ার ভিডিও ওরা রেকর্ড করে রেখেছিল। আমাকে বলা হয়েছিল আমি যদি আন্তর্জাতিক ম্যাচে তাঁদের জন্য স্পট ফিক্সিং না করি, তাহলে ওই ভিডিও ফাঁস করে দেওয়া হবে।"
টেলর জানিয়েছেন এই ঘটনার পর তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগেছেন দীর্ঘদিন। নিয়মতি কড়া ওষুধ খেতে হয়েছে তাঁকে। এমনকী রিহ্যাবও হয় তাঁর। ২০০৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেন টেলর। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দেশের জার্সিতে পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচ খেলেছিলেন। দেশের জার্সিতে ২০৫টি ওয়ানডে ম্যাচে ৬৬৮৪ রান করেন টেলর। ১১টি শতরান করেন তিনি। ৩৪টি টেস্টে ২৩২০ করা টেলর খেলেন ৪৫টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্য়াচ। করেছেন ৯৩৪ রান। জিম্বাবোয়ের সর্বকালের সেরাদেরই একজন ব্রেন্ডন টেলর।