নিজস্ব প্রতিবেদন: কলেজ জীবন শেষ করেই চাকরি নিয়ে চলে এসেছিলেন কলকাতায়। চাকরি করতেন। আর খেলতেন দিল্লির হয়ে। খুব অসুবিধা হত। কিন্তু কিছু করার ছিল না। খানিকটা বাধ্য হয়েই সিদ্ধান্ত নিলেন, এবার কলকাতাতেই পাকাপাকিভাবে থাকবেন। আর দিল্লির হয়ে খেলতে যাবেন না। অরুণ লাল সেই থেকে কলকাতার নাগরিক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কলকাতায় তখন তাঁর আটশো টাকা মাইনে। কষ্ট করেই থাকতে হত শহরে। জীবনের আর এক প্রান্তে এসে সেইসব দিনের কথা মনে করছিলেন বাংলার রঞ্জি জয়ী দলের সদস্য অরুণ লাল।  সেদিনের কষ্ট বিফলে যায়নি। তাকে ফেরায়নি সিটি অব জয়। আজ কল্লোলিনী কলকাতায় দাঁড়িয়ে জীবনকৃতি সম্মানে ভূষিত হলেন তিনি। বাংলার ক্রিকেটে অসামান্য অবদান রাখার জন্য সম্মান, ভালবাসা ও শ্রদ্ধা পেলেন। যা তাঁর প্রাপ্য ছিলই। 



সিএবির বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছিলেন ভারতীয় দলের তারকা অজিঙ্ক রাহানে। তিনিও অরুণ লালের অবদানের গল্প মঞ্চে বসে শুনছিলেন মুগ্ধ হয়ে। ১৯৮৯-১৯৯০ রঞ্জি জয়ী দলের সদস্য অরুণ লাল বলছিলেন,'ভারতীয় দলে ডাক পাওয়ার পর এক বন্ধু বলেছিল, তোর স্বপ্ন সফল হল। এবার দেশের হয়ে খেলবি। আর কী চাই! আমি ওকে হেসে বলেছিলাম, শুধু দেশের হয়ে খেলাটাই আমার জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। আমার উদ্দেশ্য, জীবনে যেন কোনও কিছু নিয়ে আক্ষেপ না থাকে। আজ বলতে পারি, আক্ষেপ আর নেই। ক্রিকেট আমায় অনেক কিছু দিয়েছে। এই শহর থেকেও অনেক কিছু পেয়েছি। আমার কৃতজ্ঞতা জাহির করার মতো ভাষা নেই।' 


কথাগুলো বলতে বলতে যেন নিজের খেয়ালে হারিয়ে যাচ্ছেন অরুণ লাল। আর মুগ্ধ শ্রোতার মতো অরুণ লালের ভাষণ শুনছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ঝুলন গোস্বামীরা। কার্তিক বোস জীবন কৃতি সম্মান হাতে নিয়ে নিজেকে যেন পরিপূর্ণ মনে করছিলেন অরুণ লাল। সেবার তিনি ছিলেন রঞ্জি জয়ী দলের কোচ। এবার সেই অরুণ লাল বাংলার রঞ্জি দলের কোচ।  তা হলে এবার তার থাকাটাই কি বাংলার কাছে পয়মন্ত হবে?


আরও পড়ুন- স্কুল ক্রিকেটের ছবিতে সচিন-কাম্বলি, দুই বন্ধু ফিরলেন ছোটবেলায়