নিজস্ব প্রতিবেদন: অলিম্পিক্সের মতো আসরে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ছাপিয়ে গেল নিখাদ বন্ধুতা! অভিন্ন হৃদয়ের দুই বন্ধুর ভালবাসার 'সোনালী' গল্পে জুড়ে গেল পদক ভাগাভাগি! অবিশ্বাস্য কিছু দৃশ্যের জন্ম দিল টোকিও অলিম্পিক্স (Tokyo Olympics 2020) । ইটালির জানমার্কো টামবেরি ও কাতারের মুতাজ এসা ব্রাসহিম বুঝিয়ে দিলেন মহাবিশ্বে শ্রেষ্ঠ সম্পর্কের নাম 'বন্ধু'। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

টামবেরি-ব্রাসহিম লং জাম্পের ফাইনালে সোনা জেতার লড়াইয়ে নেমেছিলেন। দু'জনেই ২.৩৭ মিটার লাফান। একদম কাঁটায় কাঁটায় থাকায় অলিম্পিক্সের আধিকারিকরা এই দুই লং জাম্পারকেই আরও তিনটি সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু কেউই দ্বিতীয় সুযোগে ২.৩৭ মিটারের বেশি অতিক্রম করতে পারেনি। এরপর ফের দু'জনকে আরও একবার সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু টামবেরি গুরুতর চোটের জন্য শেষ প্রচেষ্টা করেননি। 


আরও পড়ুন: Tokyo Olympics 2020: ডিসকাস ফাইনালে ৬ নম্বরে শেষ করলেন Kamalpreet Kaur


টামবেরি নিজের নাম প্রত্যাহার করায় ব্রাসহিমের কাছে সুযোগ ছিল অনায়াসে সোনা জিতে নেওয়ার। কিন্তু ব্রাসহিম তা করেননি। তিনি সোজা ছুটে যান এক আধিকারিকের কাছে। গিয়ে বলেন, "আচ্ছা আমিও যদি নাম প্রত্যাহার করে নিই, তাহলে কি এই সোনার পদক আমার আর টামবেরির মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যাবে? আধিকারিকের থেকে উত্তরটা হ্যাঁ শোনার পর ব্রাসহিম ছুটে যান টামবেরির কাছে। তাঁকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করতে থাকেন।
স্পোর্টসম্যান স্পিরিট আর বন্ধুতার শ্রেষ্ঠ নজির স্থাপন করে দেন ব্রাসহিম।


আরও পড়ুন: Mitchell Starc: মিচেল স্টার্কের ভাই অলিম্পিক্স ট্র্যাকে! ঢাকায় বসে গলা ফাটাল অজি দল



ইভেন্টের পর ব্রাসহিম বলেন, "টামবেরি আমার অন্যতম সেরা বন্ধু। শুধু ট্র্যাকেই নয়, ট্র্যাকের বাইরেও। আমরা এক সঙ্গে কাজ করি। আমাদের স্বপ্নপূরণ হলো। এটাই স্পোর্টসম্যান স্পিরিট। এই বার্তাই আমরা দিতে এসেছি সকলকে।" টোকিও অলিম্পিক্সের ইতিহাসে বন্ধুতার গল্প এভাবেই সোনার হরফে বাঁধাই করা থেকে যাবে। গোটা বিশ্ব কুর্নিশ জানাচ্ছে ব্রাসহিমকে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)