East Bengal: `লং...লং...লং`! এলসের চোট থেকে এশিয়াডে ফুটবলার ছাড়া, অপকট কুয়াদ্রাত
Carles Cuadrat On East Bengal ISL 2023-24: দুয়ারে আইএসএল, কী ভাবছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ, এসিয়াডে কি ফুটবলার ছাড়ছে ইস্টবেঙ্গল?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিট্যাল ব্যুরো: 'লং, লং, লং ওয়ার্ক'! ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের এই একটি শ্বদবন্ধ অনেক কিছু বা সব কিছু বলে দিল। বুধবার সকালে বাইপাসের ধারের এক পাঁচতারা হোটেল চলছে আসন্ন ইন্ডিয়ান সুপার লিগের মিডিয়া ডে। মোদ্দা কথায়, সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আইএসএলে অংশ নেওয়া নির্বাচিত দলের কোচ ও ফুটবলারদের কথোপকথন সারার একটা দিন।
এদিন সাত দলের আড্ডার শুরুটা হল কলকাতার অন্যতম প্রধান ইস্টবেঙ্গলকে দিয়ে। মঞ্চে কুয়াদ্রাতের সঙ্গে ছিলেন ক্লেটন সিলভা, নন্দকুমার সেকর, গুরসিমরত গিল।
দায়িত্ব নেওয়ার অল্প দিনের মধ্যে লাল-হলুদ সমর্থকদের মন জয় করে নিয়েছেন কুয়াদ্রাত, ক্লাবকে করেছেন ডুরান্ড রানার্স। যদিও ক্লাব তাঁকে নিয়ে এসেছে আইএসএলের কথা মাথায় রেখেই। মিশন আইএসএল নিয়ে কুয়াদ্রাতের ভাবনা একদম পরিষ্কার। তিনি এদিন বলছেন, 'আমি জানি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। আমি চেষ্টা করছি একটা বদল আনার। দেখতে গেলে ছ'টি সরকারি ম্যাচ খেলেছি ডুরান্ডে। দীর্ঘ একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। অত্যন্ত রোমাঞ্চকর একটা আইএসএল হবে। প্রতিটি দলই খুব শক্তিশালী। আমি ভিন্ন ট্যাকটিক্স নিয়েছি, প্রতিপক্ষকে নিয়ে পড়াশোনা করছি। প্রতিদ্বন্দ্বীমূলক একটা দলকে দেখবেন। হাতে অনেকটা সময় রয়েছে। আমরা চেষ্টা করব।'
ডুরান্ড ফাইনালে হাঁটুতে চোট পেয়ে কার্যত আইএসএল থেকে ছিটকে গিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের অজি সেন্টারব্যাক জর্ডন এলসে। যা নিঃসন্দেহে লাল-হলুদের জন্য বিরাট ধাক্কা। কুয়াদ্রাতকে কত'টা ভাবাচ্ছে এলসের অভাব?, তিনি বলেন, 'সত্যিই অত্যন্ত খারাপ ঘটনা। আমি ওর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। দেখুন ইস্টবেঙ্গল পেশাদার দল। আমরা জর্ডনের বিকল্পের কথা ভাবছি। প্রতিদ্বন্দ্বীমুলক দল গঠনেরই চেষ্টা করছি।'
আরও পড়ুন: Team India | Asia Cup 2023: ২১৩ করেও জিততে পারে ভারত! রেলায় ফাইনালে রোহিতরা
আসন্ন এশিয়াড গেমসের ১০ দিন আগে ইস্ট বেঙ্গল, মোহনবাগানকে ফুটবলার ছাড়তে হবে জাতীয় দলের জন্য। ফেডারেশনে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। এই অবস্হায় কুয়াদ্রাত কী করবেন? ৫৪ বছরের স্প্যানিশ বাসিন্দা তাঁর বায়োডেটাটা আবার একবার মনে করিয়ে দিয়ে বললেন, 'দেখুন আমি কিন্তু জাতীয় দলের কোচিং করিয়েছি ( এল সালভাদোর, ২০১৪-১৫, সহকারি কোচ)। আমি জানি কী ক্যালেন্ডার রয়েছে। পরিস্থিতি একেবারে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা তালিকা পাঠিয়ে দিয়েছি। তারা সকলেই পেশাদার ফুটবলার। দেশের জন্য যেটা সেরা হবে, সেটাই করব আমরা।'
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee On Pranati Nayak: বিশ্বমঞ্চে পদক বাংলার মেয়ের, গর্বিত মুখ্যমন্ত্রীর আবেগি বার্তা
ডার্বির নায়ক নন্দকুমার এখনও ডার্বির ঘোর কাটাতে পারেননি। তিনি বলছেন, 'আমি টিভিতে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের খেলা দেখেছি। ৬০ হাজার দর্শকের সামনে খেলতে গিয়ে নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম। পরিবার, বন্ধুবান্ধব, সকলেই অন্য চোখে দেখেছিল। দারুণ সম্মানের ব্যাপার ছিল। প্রায় সাড়ে চার বছর পর ডার্বি জিতেছিলাম।'
বেঙ্গালুরু, নর্থইস্ট, মোহনবাগান, মুম্বই সিটি এসফসি ঘুরে পঞ্জাব পুত্তর পুত্তর গুরসিমরত এই মরসুমে লাল-হলুদের রক্ষণে। তিনি বলছেন, 'দলকে সাহায্য করার লক্ষ্যই আমার থাকে। ইস্টবেঙ্গলেও তাই। কিছু বদলায়নি। সবের জন্য প্রস্তুত আমি।' গুরসিমরতের ভাই প্ৰভসুখন গিল আবার লাল-হলুদের তে-কাঠির নীচে ভরসামান যোদ্ধা হয়ে উঠেছেন। গুরসিমরত বলছেন, 'মা একা দায়িত্ব নিয়ে আমাদের ফুটবলার বানিয়েছেন। তাঁর কাছে আজীবন ঋণ আমাদের। মা এসেছিলেন আমাদের খেলা দেখতে।'
গত মরসুমে লাল-হলুদের বর্ষসেরা হয়েছিলেন ক্লেটন সিলভা। ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার এবার পাশে পেয়েছেন বোরহা-সিভেইরোকে। ক্লেটন বলছেন, 'এবার দলে একাধিক বিদেশি এসেছে। কোচের আইএসএল জেতার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেটাই আমাদের কাজে লাগবে। গতবারের চেয়ে এটাই ফারাক। আশা করছি ফুটবলের গুণগত মান আরও বাড়বে।' বোঝাই যাচ্ছে যে ইস্টবেঙ্গল এবার সবটা দিয়েই ঝাঁপাতে প্রস্তুত।