নিজস্ব প্রতিবেদন- ছোটবেলার ক্রিকেট। পাড়ার ক্রিকেট। ছাদের ক্রিকেট। যা-ই বলুন না কেন, ক্রিকেটের তো ভাগাভাগির শেষ নেই। কতরকমভাবে আমরা সবাই ক্রিকেট খেলেছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেন তারকারা। তাঁদের দেখে আমাদেরও সচিন, পন্টিং, ভিভ হওয়ার সাধ হয়। কিন্তু সাধ আর সাধ্য প্রায় একইরকম দেখতে দুটো শব্দ হলেও এক নয়। দুটির মাঝের দূরত্ব অনেক। তাই আমরা দুধের স্বাদ বরাবর মিটিয়েছি ঘোলে। আর সেই ঘোল পানেও ছিল এক অনাবিল আনন্দ। পাড়ার সব বন্ধুদের সঙ্গে বিকেলের ক্রিকেট মানে ছিল নির্ভেজাল শান্তি। তখন জীবনে স্ট্রেস, প্রেসার, অ্যাংজাইটি-র মতো ভারি ভারি শব্দ ছিল না। বিকেলের ক্রিকেট আর বন্ধুদের সঙ্গে হাউজ দ্যাট চিত্কারেই জড়িয়ে ছিল জীবনের সমস্ত প্রাপ্ত-অপ্রাপ্তি। তাই তো? 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাড়ার ক্রিকেটে বেশিরভাগ সময়ই স্টাম্প থাকত না। ইটের উপর ইট চাপিয়ে বা গাছের ডাল ভেঙে উইকেট হয়ে যেত। কখনও আবার দেওয়ালে এঁকে, কখনও টুল পেতেও কাজ চালিয়ে নেওয়া যেত। এত নিয়মের গেরো ফাঁদা তো মুখ্য ব্যাপার ছিল না। খেলার মজাটাই আসল। কিন্তু কখনও মোষের গায়ে চক দিয়ে উইকেট এঁকে ক্রিকেট খেলেছেন? গ্রামবাংলায় থাকা কেউ কেউ হয়তো বলবেন, হ্যাঁ খেলেছেন। কিন্তু আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই উইকেট তৈরির এই অপশন হয়তো পাইনি। পাকিস্তানের প্রাক্তন তারকা ও বর্তমান ধারাভাষ্যকার রামিজ রাজা এই অপশন ছোটবেলায় পেয়েছিলেন। ভারত হোক বা পাকিস্তান, এখনকার গ্রামাঞ্চলের বাচ্চারাও এই অপশন সামনে পেলে উইকেট বানিয়ে ক্রিকেট খেলা শুরু করে দেয়।


আরও পড়ুন-  ক্রিকেটের রুল বুক এবার হিন্দিতে! অনুবাদ করে দিলেন ভারতের সিনিয়র আম্পায়ার


রামিজ একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি মেয়ে ব্যাটিং করছে, আর তার পিছনে একটি মোষ বাঁধা। সেই মোষের গায়েই চক দিয়ে উইকেট আঁকা। সেই ছবি দেখে ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করেছেন রামিজ। আর ক্যাপশন লিখেছেন- ''ক্যাউজ্যাট!! বাফেলো সোলজার!! দেখা যাক কে কেমন ক্যাপশন দিতে পারে!'' তাঁর সেই ছবি ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগেনি। অনেকেই অনেক ক্যাপশন করেছেন সেই ছবির নিচে। রামিজ নিজে আবার লিখেছেন, ''এই উইকেটের সামনে খেললে আজীবন ব্যাটিং করা যাবে। উইকেট জায়গা বদল করলেই ব্যাটসম্যান বোল্ড আউট কিংবা লেগ বিফোর হবে না। আজীবন ব্যাটিং করতে পারবে।''