নিজস্ব প্রতিবেদন— হোম কোয়ারান্টিন, লকডাউন। করোনার প্রকোপের মাঝে বিশ্ববাসীর কাছে এখন এই দুটি শব্দ পরিচিত হয়ে উঠেছে। আর এর মধ্যে এক শব্দ ব্যবহার করেই তিনি নিজের অবস্থা বোঝাতে চেয়েছেন। ৩৯ বছর বয়সী লেগ স্পিনার দানিশ কানেরিয়া টেস্টে পাকিস্তানের চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। কিন্তু সেই কানেরিয়ার এখন চরম দুঃসময় চলছে। বারবার সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েও নিস্তার পাচ্ছেন না পাকিস্তান দলে খেলা এই হিন্দু ক্রিকেটার। আর এই দুরবস্থার জন্য তিনি নিজের ধর্মবিশ্বাসের প্রসঙ্গ তুলছেন বারবার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এর আগেও কানেরিয়া বলেছিলেন, তিনি হিন্দু বলেই পাকিস্তান দলের অনেকে তাঁর সঙ্গে এক টেবিলে বসে খাবার খেতেন না। এর পর কানেরিরায় সমর্থনে এগিয়ে এসেছিলেন শোয়েব আখতার। তা নিয়ে বিস্তর হইচই হয়। এবার সারা বিশ্ব যখন একজোট হয়ে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তখন ফের মুখ খুললেন কানেরিয়া। এবারও তাঁর বক্তব্য প্রায় এক। তিনি গর্বিত হিন্দু। আর তাই পাকিস্তানে চরম দুরাবস্থা চলছে। তিনি বলেছেন, ''পাকিস্তানে আমার জীবনটা লকডাউন করে রাখা হয়েছে। পাকিস্তানে অনেক ক্রিকেটারের অনেক সমস্যারই সমাধান করা হয়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আমার বিষয়ে ঘুমোচ্ছে। কারণ আমি একজন গর্বিত হিন্দু। সৃষ্টিকর্তা ক্ষমা করুন। আশা করি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবার অন্তত আমাকে সাহায্য করবেন। সবার অনুরোধ গ্রহণ হলে আমারটা হবে না কেন!''


আরও পড়ুন—  কঠিন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা, এই লড়াইয়ে আমরাই জিতব : সৌরভ গাঙ্গুলি


২০১২ সালে এসেক্সের ক্রিকেটার মারভিন ওয়েস্টফিল্ডকে স্পট ফিক্সিংয়ে প্ররোচিত করার অপরাধে নির্বাসিত হন কানেরিয়া। এর পর থেকে বহুবার নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বারবার ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি বলেছেন, ''আমার পুনর্বাসন হবে না কেন! খেলতে না পারলেও অন্তত কোচিং তো করাতে পারি। পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডকে চিঠি পাঠিয়েছি। তারা কী উত্তর দেয় সেটা সবাইকে দেখাব।''