নিজস্ব প্রতিবেদন— খেলার মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কতদূর সম্ভব! তা হলে কি গোলের উদযাপনে ফুটবলাররা একে অপরকে জড়িয়ে ধরবেন না! বা বোলার উইকেট পেলে তাঁকে সতীর্থ ক্রিকেটাররা কোলে তুলে নেবে না! করোনা পরবর্তী সময় কি এসব উদযাপনও বন্ধ হয়ে যাবে! ক্রিকেট হোক বা ফুটবল বা অন্য কোনও খেলা, খেলোয়াড়দের উদযাপনের স্টাইল দর্শকদের মনোরঞ্জনের আধার। খেলার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের এই উদযাপনের ধরণও দর্শকরা উপভোগ করেন। কিন্তু সেসব এখন অতীত। করোনা পাল্টে দিয়েছে সামাজিকতার সংজ্ঞা। খেলার মাঠেও তার প্রভাব পড়েছে স্পষ্ট। এবার থেকে গোল করলেও সাবধান থাকতে হবে ফুটবলারদের। না হলেই বিপদ!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৭০ দিন পর ইউরোপে ফুটবল ফিরেছে। মেজর সকার লিগ হিসেবে করোনা পরবর্তী সময় শনিবার থেকে শুরু হল বুন্দেসলিগা। তবে খেলা হল নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে। দর্শকশূন্য স্টেডিয়াম। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রেখে খেলতে হবে ফুটবলারদের, এমনই নির্দেশিকা ছিল। কিন্তু গোল হলে কী আর সেসব মাথায় থাকে! তা ছাড়া এত বছরের পুরনো অভ্যাস কি আর এত সহজে বদলানো যায়। নির্দেশিকার কথা হয়তো ভুলেই গিয়েছিলেন আর্লিং হ্যালান্ড, ম্যাট হামেলসরা। প্রায় সব ম্যাচেই অবশ্য একই দৃশ্য চোখে পড়েছে। গোল করেই সেলিব্রেশনে মাতেন ফুটবলাররা। কীসের সামাজিক দৃরত্ব! করোনা পরবর্তী সময় ফুটবলারদের বদলাতে পারেনি হয়তো। 


আরও পড়ুন—  লকডাউন ৪.০! অদ্ভুত শর্তে খুলবে স্টেডিয়াম, আইপিএলের ভবিষ্যত্ কী?


হফেনহেইমের বিরুদ্ধে গোলের পর হার্থার এক ডিফেন্ডারের সেলিব্রেশন ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার গোলের পর হার্থা ডিফেন্ডার ডেড্রিক বোয়াতা সতীর্থ মার্কো গ্রুজিচের গালে চুমু খেয়ে বসেন। গাইডলাইন ভেঙে সেলিব্রেশন করেছেন বোয়াতা। তবে আপাতত তাঁর শাস্তি হবে না। কারণ, জার্মান ফুটবল লিগের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সেলিব্রেশনের বিষয়টি বৃহস্পতিবার  রুলবুকে অন্তর্ভুক্ত করেছে তারা। তা ছাড়া এই নিয়ে ফুটবলারদের কাছে কোনও মেডিক্যাল সংস্থার নিষেধাজ্ঞা নেই। নতুন নিয়মের সঙ্গে ধাতস্থ হতেও সময় লাগবে। সেটাও উল্লেখ করা হয়। ডেড্রিক বোয়াতা অবশ্য বলেছেন, ''ছবার করোনা হয়েছে আমাদের। প্রত্যেকবারই রিপোর্ট নেগেটিভ। তার পরও এত ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তা ছাড়া আবেগ খেলার অঙ্গ। আবেগ বিসর্জন দিয়ে খেলব কী করে!''