নিজস্ব প্রতিবেদন: এক সেকেন্ডও নয়। অর্ধ সেকেন্ডও নয়। স্টাম্প করতে ভারতের সব থেকে বয়স্ক (৩৭) ক্রিকেটার সময় নিলেন মাত্র ০.০৮ সেকেন্ড। চোখের পলক ফেলার সময়ও দেননি, তার মধ্যে বল পিক করে উইকেট ভেঙে উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান কিমো পালকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠালেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। মুম্বইয়ের ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে ধোনির এই স্টাম্পিংয়ের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট হতেই তা ভাইরাল। দেখে নিন ধোনির সেই বিদ্যুত গতির স্টাম্পিং।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ধোনিকে দলে রাখা হয়নি। বিসিসিআইয়ের তরফে বলা হয়, ধোনিকে বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু পরে এমনও শোনা যায়, ধোনিকে আসলে ইচ্ছাকৃতই বাদ দেওয়া হয়েছে। তাঁর পরিবর্তে ঋষভ পন্থকেই সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে বলেও খবর রটে। এমনও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় আয়োজিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও হয়ত বাদ দেওয়া হতে পারে এমএসডি-কে। আর সে কারণেই অস্ট্রেলিয়া সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাঁকে বাদ দিয়ে একটা বার্তাও দিয়ে রাখা হল ধোনিকে। এরপর ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ এও ভাবতে শুরু করেছে, ধোনির টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারটাই হয়ত শেষ। তবে ধোনির কেরিয়ার নিয়ে এখনই নেতিবাচক কোনও মন্তব্য শোনা যায়নি ভারতীয় দলের নির্বাচকমণ্ডলীর তরফে। বরং এমএসকে প্রধান এমএসডি নিয়ে এখনও আশাবাদী।


আরও পড়ুন- লিগামেন্ট ছিঁড়ে মৃত্যুশয্যায় ক্রিকেটার, ১০ লাখ টাকা না পেলে চিকিত্সাই হবে না!


কিন্তু এটাও ঠিক, ভারত এখন চাইছে দলে একজন ব্যাটসম্যান-উইকেট কিপার থাকুক। যিনি ব্যাটে ভারতকে বেশি সাহায্য করতে পারবে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে সাম্প্রতিক সময়ে ধোনি উইকেটের পিছনে প্রশ্নাতীত হলেও ব্যাটিংয়ে তেমনভাবে নজর কাড়তে পারেননি। এমনকি আইপিএল-এও যে ফর্মে তিনি ছিলেন, তার ছিটেফোঁটাও দেখা যাচ্ছে না আন্তর্জাতিক সার্কিটে। এমন অবস্থায় দুটি বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের উপর যে চাপ বাড়বে সেটাই স্বাভাবিক।


আরও পড়ুন- বিশ্বকাপে বউয়ের সঙ্গে কলাও চাইলেন বিরাটরা!


তবে ধোনি অনুরাগীরা মনে করছেন, সমালোচনাকদের খুব শীঘ্রই জবাব দেবেন ধোনি। কেবল সুযোগের অপেক্ষা। অনেকেই বলছেন, ব্যাটে খরা থাকলেও উইকেটের পিছনে নিজের কাজটা করে যাচ্ছেন নেপথ্য নায়কের মতো। ‘থালা ফ্যানদের’ কাছে  উইকেট কিপার ধোনির কোনও তুলনাই নেই। তাঁদের দাবি, ডিআরএস কল এবং প্রয়োজনে বিরাটকে গাইড করার ক্ষমতা, যা কেবল ধোনির মধ্যে রয়েছে তা এই মুহূর্তে  আর কোনও ক্রিকেটারেরই নেই।