নিজস্ব প্রতিবেদন: ১৯৯২ সালের পর আবার বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়ে চতুর্থবার বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্রিটিশরা। অন্যদিকে এর আগে কোনওবার সেমি-ফাইনালে না হারা অস্ট্রেলিয়া প্রথমবার শেষ চারে হারের মুখ দেখল। ১৪ জুলাই, লর্ডসে বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের সামনে নিউ জিল্যান্ড।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অস্ট্রেলিয়ার ২২৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে মেজাজেই শুরু করেছিলেন দুরন্ত ছন্দে থাকা দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো এবং জেসন রয়। বিশেষ করে স্টার্ক, বেহরনড্রফ, কামিন্সদের বিরুদ্ধে আক্রমণের পথই বেছে নেন জেসন রয়। বরং অনেকটা ধীরে খেলতে থাকেন জনি বেয়ারস্টো। ১২৪ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপই ইংল্যান্ডের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। ৩৪ রানে আঠন হন বেয়ারস্টো। ৬৫ বলে ৮৫ রান করে ফিরলেন জেসন রয়। এরপর জো রুট এবং ইয়ন মর্গ্যান জুটি অনায়াসেই ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলে নিয়ে গেলেন।  জো রুট ৪৯ এবং মর্গ্যান ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ৩২.১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড। গ্রুপ লিগে লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে। সেমি ফাইনালে মধুর প্রতিশোধ নিল ইংল্যান্ড।



প্রথম সেমি-ফাইনালের মতো দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালেও লো-স্কোরিং ম্যাচ। ক্রিস ওকস, জোফ্রা আর্চার, আদিল রশিদের দুরন্ত বোলিংয়ে মাত্র ২২৩ রানে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। যদিও এজবাস্টনে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক অ্যারোন ফিঞ্চ। শূন্য রানে ফিঞ্চকে ফিরিয়ে অজি শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন জোফ্রা আর্চার। এরপর ক্রিস ওকসের জোড়া ধাক্কায় প্যাভিলিয়নের পথ দেখেন ডেভিড ওয়ার্নার(৯) এবং পিটার হ্যান্ডসকম্ব(৪)। এরপর অবশ্য দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালান স্টিভ স্মিথ এবং অ্যালেক্স কেরি। আর্চারের বাউন্সারে চোয়ালে আঘাত লাগার পর ব্যান্ডেজ বেঁধে ৭০ বলে ৪৬ রান করেন ক্যারে। স্টোইনিস শূন্য, ম্যাক্সওয়েল ২২, কামিন্স ৬ আর শেষ দিকে মিচেল স্টার্ক ২৯ রান করেন। অন্যদিকে ১১৯ বলে ৮৫ করে রান আউট হন স্মিথ।৪৯ ওভারেই ২২৩ রানে অস্ট্রেলিয়াকে গুটিয়ে দিল ইংল্যান্ড। ব্রিটিশদের হয়ে ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ ৩টি করে উইকেট নিলেন। ২টি উইকেট নেন জোফ্রা আর্চার।


 


আরও পড়ুন - বিশ্বকাপে আইপিএল-এর ফরম্যাট চান হতাশ কোহলি!