EXCLUSIVE, BCCI vs Chetan Sharma Controversy: `বিরাট মিথ্যা বলেছেন!` সৌরভ বনাম বিরাটের ইগোর লড়াই নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন চেতন শর্মা
Chetan Sharma Sting Operation: ২০২১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে যাওয়ার আগে ১৫ ডিসেম্বর সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন বিরাট। সেখানে তিনি প্রাক্তন বোর্ড সভাপতি সৌরভের নাম মুখে না এনেও, তাঁর দিকে মারাত্মক অভিযোগ করেছিলেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জসপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah) ও ভারতীয় দলের একাধিক তারকার ফিটনেস নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার পর, এবার বিসিসিআই-এর (BCCI) প্রাক্তন সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) বনাম বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ইগোর লড়াই নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন মুখ্য জাতীয় নির্বাচক (Chief Selector) চেতন শর্মা ((Chetan Sharma) । তাঁর দাবি সৌরভ বনাম বিরাটের (Sourav Ganguly vs Virat Kohli) সেই ইগোর লড়াই নিয়ে, চেতনের দাবি বিরাট মিথ্যা কথা বলছেন! জি নিউজের (Zee News) বিশেষ অনুষ্ঠান #গেমওভার-এর (#GameOver) অনুষ্ঠানের লুকনো ক্যামেরায় ভয়ংকর দাবি করলেন তিনি।
চেতনের দাবি দুই মহাতারকার ইগোর লড়াইয়ের জন্য সমস্যা বেড়েছিল। তিনি বলেন, "বিরাট ভাবতে শুরু করে যে ও ভারতের সেরা অধিনায়ক। সৌরভের থেকেও বড় অধিনায়ক। এমনকি বিরাট নিজেকে ভারতীয় ক্রিকেটের থেকে বড় ভাবতে শুরু করে! আর এখান থেকেই সমস্যা শুরু। আসলে এটা ইগোর লড়াই।" এরপর তিনি ফের বলেন, "আমরা বিরাটের সঙ্গে কথা বলেই ওকে একদিনের দলের অধিনায়ক পদ থেকে বাদ দিয়েছিলাম। এখানে সৌরভের কোনও ভুমিকাই নেই।"
এরপর চেতন ফের যোগ করেন, "সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় মিডিয়ার সামনে বলেছিল বিরাট যেন অধিনায়কত্ব না ছাড়ে। এবং সৌরভ সত্যি কথাই বলেছিল। কারণ আমরা সেই সময় মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলাম। এবার বিরাট কেন সৌরভের কথা শুনতে পায়নি, সেটা তো বিরাটই বলতে পারবে।" এখানেই শেষ নয়। চেতন ফের বলেন, "বিরাট ভাবত যে সৌরভই ওর অধিনায়কত্ব কেরিয়ার শেষ করে দিয়েছে! তবে এটা ঠিক নয়। বিরাট কোহলি মিথ্যা কথা বলছে।"
আরও পড়ুন: Manoj Tiwary, BEN vs SAU: বদলার আবহের ফাইনালে ইডেনে 'গ্রিন টপ', সৌরাষ্ট্রকে হুঙ্কার দিলেন মনোজ
২০২১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে যাওয়ার আগে ১৫ ডিসেম্বর সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন বিরাট। সেখানে তিনি প্রাক্তন বোর্ড সভাপতি সৌরভের নাম মুখে না এনেও, তাঁর দিকে মারাত্মক অভিযোগ করেছিলেন। বলেছিলেন, "ওয়ানডে দলে নির্বাচনের জন্য আমি ফাঁকা আছি। অতীতে কিছু কথা হয়েছে যে, আমি নাকি কোনও ইভেন্টে যোগ দিচ্ছি বা এরকম কিছু। কিন্তু এর কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। কয়েকজন মিথ্যা কথা লিখেছে। আমি দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ছিলাম এবং এখনও আছি। আমার বিসিসিআই-এর সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। আমি কোনও বিরতির কথাও বলিওনি। লোকজন মিথ্যা কথা লিখছে। আমি কখনও বিশ্রাম চাইনি।"
যদিও ক্রিকেটমহলের একাংশ দাবি করেছিল যে, পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটের নেতৃত্ব থেকে ছেঁটে ফেলার জন্যই নাকি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোহলি। যা বোর্ডের উপর আরও চাপ বাড়িয়েছে। এদিন কোহলি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, "গত ৮ ডিসেম্বর টেস্ট দলের নির্বাচনী বৈঠকের দেড় ঘণ্টা আগে আমার সঙ্গে মুখ্য নির্বাচক চেতন শর্মা কথা বলেছিল। টেস্ট দল নিয়ে যাবতীয় আলোচনার পর তিনি জানানো হয় যে, যেহেতু আমি টি-টোয়েন্টি দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছি না, তাই পাঁচ জন নির্বাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, আমি আর ওয়ানডে দলের ক্যাপ্টেন রাখা সম্ভব নয়। বিসিসিআই-এর কর্মকর্তা ও মুখ্য নির্বাচক মণ্ডলীর সেই সিদ্ধান্তকে আমি মেনে নিয়েছি। এরপর থেকে বিসিসিআই-এর কোনও কর্তার সঙ্গে আমার কথা হয়নি। টেলিফোনের সেই আলাপে অধিনায়কত্ব বদলের ব্যাপারে যা বলার বলা হয়েছিল।"
এত মাস পরে সেই ইস্যু ফের একবার সামনে চলে এল। এবার এই মহা বিতর্কের জল কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার।