বেলজিয়ামের অশ্বমেধের ঘোড়া থামিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্স
বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারিয়ে মস্কোর টিকিট পেয়ে গেল দিদিয়ে দেশঁর দল।
নিজস্ব প্রতিবেদন : তারুণ্যের শক্তিতে রাশিয়ার মাটিতে ফরাসি ফুটবলের নবজাগরণ। বেলজিয়ামের 'সোনালী প্রজন্মে'র অশ্বমেধের ঘোড়া থামিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্স। বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারিয়ে মস্কোর টিকিট পেয়ে গেল দিদিয়ে দেশঁর দল। এই নিয়ে তৃতীয়বার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফরাসিরা।
অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান দারুণ সব সুযোগ তৈরি করলেন। কিলিয়ান এমবাপে আবারও দেখালেন গতির ঝলক। ব্যবধানটা গড়ে দিলেন স্যামুয়েল উমতিতি। সেন্ট পিটার্সবার্গে মঙ্গলবার শুরু থেকেই বল দখল আর আক্রমণের এগিয়ে ছিল বেলজিয়াম। ১৫ মিনিটে এডেন হ্যাজার্ডের কোনাকুনি শট দূরের পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। দু মিনিট পর অপর প্রান্তে ব্লেইস মাতুইদির চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন গোলকিপার কুর্তোয়া। ২২ মিনিটে দুর্দান্ত সেভ করে ফ্রান্সকে বাঁচান হুগো লরিস। ৩৯ মিনিটে পাভার্ডের কোনাকুনি শট দুর্দান্তভাবে বাঁচিয়ে ফ্রান্সকেও গোল করতে দেননি কুর্তোয়া। গোলশূন্য থাকে প্রথমার্ধ।
আরও পড়ুন - সেমি ফাইনালে খেলতে পারবেন ভিদা!
দ্বিতীয়ার্ধের ৫১ মিনিটেই স্যামুয়েল উমতিতির গোলে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। কর্নার থেকে বল পেয়ে হেডে গোল করে যান বার্সেলোনার এই ডিফেন্ডার। গোল খেয়ে আক্রমণ আরও জোরদার করে বেলজিয়াম। ৬১ মিনিটে ড্রিস মের্টেন্সের থেকে ফাঁকায় বল পেয়েও সুযোগ হারান ডি ব্রুইন। ৬৫ মিনিটে ফেলাইনির হেড গোলপোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। ৮১ মিনিটে আক্সেল উইটসেলের বাঁক খাওয়া শট বাঁচিয়ে আবারও ফ্রান্সের ত্রাতা সেই লরিস। গোটা ম্যাচে নিষ্প্রভ থাকলেন লুকাকু। অন্যদিকে সুযোগ নষ্টের মহড়ায় ফ্রান্সের জিরু। ম্যাচের বাকি সময় আর গোলের দেখা পায়নি কোনও দল।
টানা ২৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর হারের স্বাদ পেল বেলজিয়াম। ১৯৯০ সাল থেকে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দেখা গেছে, যে দল ব্রাজিলকে হারায়, তারা ফাইনাল খেলে। দিদিয়ে দেশঁর ফ্রান্স সেই পরিসংখ্যানও বদলে দিল। '৮৬-র পর সেই সেমি ফাইনালেই থমকে গেল টিনটিনের দেশের 'সোনালি প্রজন্মের' দৌড়। ২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপে শেষবার ফাইনালে ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল ফরাসিরা। রাশিয়ার দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু '৯৮-র বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।