ওয়েব ডেস্ক: শাপমুক্তি ঘটালেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। অবশেষে দেশের জার্সিতে ট্রফি জিতলেন সিআরসেভেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাঁ হাটুতে চোট পেয়ে চোখের জলে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল। কিন্তু ইউরো জিততেই বাঁধনছাড়া উচ্ছ্বাসে মাতলেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। দশই জুলাই। দুহাজার ষোলোর রাতটা বোধহয় কোনওদিন ভুলতে পারবেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এক ঘণ্টার মধ্যেই চোখের জল আনন্দাশ্রুতে পরিণত হল সিআরসেভেনের।


ইউরো সেরা পর্তুগাল


দুহাজার চার সালে ফাইনালে উঠেও খেতাব জেতা হয়নি রোনাল্ডোর। চোখের জলে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তরুণ স্ট্রাইকারকে। তাই রবিবারের ফাইনাল ছিল রোনাল্ডোর কাছে নাউ অর নেভার। কিন্তু খেলার শুরুতেই পায়েতের সঙ্গে সংঘর্ষে বা হাঁটুতে চোট পান রোনাল্ডো। বার বার চেষ্টা করেও খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি। হতাশায় ভেঙে পড়েন বিশ্বফুটবলের সেরা তারকা। চোখের জল চেপে রাখতে পারেননি সিআরসেভেন।


ভারতের ফুটবলওয়ালার বিদায়


নানিকে ক্যাপ্টেন ব্যান্ড দিয়ে স্ট্রেচারে করে স্ট্যাড দ্য ফ্রান্স ছাড়েন রোনাল্ডো। নির্ধারিত নব্বই মিনিটের খেলা শেষ হতেই আবার দেখা মিলল পর্তুগিজ অধিনায়কের। হাঁটুর ব্যাথা নিয়েই মাঠে ফিরলেন তিনি। এবার একটু অন্য ভূমিকায়। নেমে পড়লেন সতীর্থদের চাঙ্গা করতে। মাঠের বাইরে থেকেই নানিদের লড়াইকে উত্সাহ দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। রোনাল্ডোকে দেখে মনে হচ্ছিল তিনিই যেন দলের কোচ। অতিরিক্ত সময়ে এডের গোল করতেই আবার রোনাল্ডোর চোখে জল। এটা অবশ্য আনন্দাশ্রু।


খেলার শেষ কয়েক মিনিট যেন নিজেকে ধরে রাখতে পারছিলেন না। ভুল করে চলে যাচ্ছিলেন বিপক্ষের টেকনিক্যাল এরিয়াতেও। রেফারি শেষ বাঁশি বাজাতেই দলের সতীর্থদের সঙ্গে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেন রোনাল্ডো। তার চোখে মুখে যেন স্বপ্নপূরণের আনন্দ। অবশেষে হাতে তুললেন ইউরো কাপ। যেন শাপমুক্তি ঘটল সিআরসেভেনের। আর তাঁকে শুনতে হবে না যে দেশের হয়ে কোনও ট্রফি নেই রোনাল্ডোর। এক মাসের মধ্যে দেশ আর ক্লাবের হয়ে ইউরোপ সেরা হলেন সিআরসেভেন।