নিজস্ব প্রতিবেদন- হকির জাদুকর। এমন একজন ক্রীড়াবিদ যাঁকে দোর্দণ্ডপ্রতাপ হিটলারও স্যালুট করেছিলেন। দেশের স্বাধীন হওয়ার আগে জার্মানির হয়ে খেলার প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি হিটলারের মুখের উপর সপাটে বলেছিলেন, প্রশ্নই নেই। যতদিন বাঁচবেন ভারতীয় হকিতেই আলো ছড়াবেন। আজ ২৯শে অগাস্ট। অর্থাত্, মেজর ধ্যানচাঁদের জন্মদিন। আর তাঁকে সম্মানজ্ঞাপন ও তাঁর স্মৃতিচারণের জন্যই আজকের দিনটা জাতীয় ক্রীড়া দিবস হিসাবে পালিত হয়। ২০১২ সাল থেকে এই দিনটাকে জাতীয় ক্রীড়া দিবস হিসাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এবার সবই যেন আলাদা। দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবার আজকের দিনে রাষ্ট্রপতি ভবনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হবে না। কারণটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনার এই আবহের মধ্যেও এবারের ক্রীড়া দিবসের প্রাধান্য রয়েছে। পুরস্কার নিতে ক্রীড়াবিদরা সশরীরের রাষ্ট্রপতি ভবনে হাজির থাকতে পারবেন না। এই প্রথমবার অনুষ্ঠান হবে ভার্চুয়াল। এই প্রথমবার একসঙ্গে পাঁচজনকে খেলরত্ন পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে তিনজন মহিলা ক্রীড়াবিদ। এর আগে ২০১৬ সালে মোট চারজন খেলরত্ন পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদদদের মধ্যে তিনজন ছিলেন মহিলা। ২০১৬ সালে পিভি সিন্ধু, সাক্ষী মালিক ও দীপা কর্মকার পেয়েছিলেন খেল রত্ন। আর এবার রানি রামপাল, বিনেশ ফোগত ও মনিকা বাত্রা পাচ্ছেন খেল রত্ন পুরস্কার। চতুর্থ ক্রিকেটার হিসাবে আজ খেল রত্ন পুরস্কারে ভূষিত হবেন রোহিত শর্মা। এর আগে সচিন তেন্ডুলকর, এম এস ধোনি ও বিরাট কোহলি এই পুরস্কার পেয়েছেন।


আরও পড়ুন-  জাতীয় ক্রীড়া দিবসের ভার্চুয়াল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে থাকছেন না করোনায় আক্রান্ত কুস্তিগির ভিনেশ ফোগত


সাতটি ক্যাটেগরিতে এবার ৭৪ জন ক্রীড়াবিদ ও কোচকে পুরস্কৃত করা হবে। তার মধ্যে ৬০ জন আজ ভার্চুয়াল সেরিমনি-তে উপস্থিত থাকতে পারবেন। দেশের মোট ৩৮ জন ক্রীড়াবিদ এখনও পর্যন্ত খেল রত্ন পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৯১ সাল থেকে রাজীব গান্ধী খেল রত্ন পুরস্কার প্রদান শুরু হয়েছিল। দাবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বিশ্বনাথন আনন্দ প্রথম এই পুরস্কার পান। আজ ২৭ জন ক্রীড়াবিদ অর্জুন পুরস্কার পাবেন। দ্রোণাচার্য পুরস্কার পাবেন আটজন কোচ।