ব্যুরো: ৫৮ বছর পর শাপমোচন। প্রায় ছয় দশক পর জার্মানিকে হারাল ফ্রান্স। ইউরো কাপের সেমিফাইনালের মহারণে জার্মানিকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠল দিদিয়ের দেশঁ ব্রিগেড। জোড়া গোল করে ফ্রান্সের জয়ের নায়ক অ্যান্টনিও গ্রেইজম্যান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


১৯৫৮ পর ২০১৬।  আটান্ন বছর পর অবশেষে জার্মান দুর্গ ভাঙল ফরাসি ব্রিগেড। মার্সেইয়ের মহারণে বাজিমাত করল দিদিয়ের দল। ইউরোর সেমিতে জার্মানিকে দুই-শূন্য গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিল আয়োজক দেশ ফ্রান্স। ফলে ইউরো থেকে বিদায় নিতে হল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে। বিশ্বকাপের পর ইউরো , ডাবল জেতার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল জোয়াকিম লো-র। সেমিফাইনালে দুরন্ত খেলেও মাথা নীচু করে মাঠ ছাড়তে হল ওজিল-মুলারদের। কার্ড সমস্যায় দলে ছিলেন না হামেলস, চোটের কারণে খেলতে পারেননি খেদিরা, গোমেজ। ফলে দলে অনেক পরিবর্তন আনতে হয়েছিল জার্মানি কোচকে। তা সত্বেও মেগা ম্যাচে শুরু থেকেই ঝকঝকে লাগছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। কিছুতেই খেলা ধরতে পারছিলেন না পোগবা-রা। তবে খেলার গতিপ্রকৃতি বদলে যায় প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে। পেনাল্টি বক্সে হেড দিতে ওঠার সময় হাতে বল লাগান জার্মান অধিনায়ক বাস্তিয়ান সোয়াইনস্টেইগার। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি অ্যান্টনিও গ্রেইজম্যান। 


গ্রিজম্যানের এখন ফোকাস কোথায়?


দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ঝাঁপান মুলার-ওজিলরা। বারবার ফরাসি ডিফেন্সকে চাপে ফেলেও কিছুতেই গোলমুখ খুলতে পারেনি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন-রা। বেশ কিছু দুরন্ত সেভ করেন ফরাসি গোলকিপার। উল্টে আবারও ব্যবধান বাড়ায় ফ্রান্স। ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করে ফরাসি ব্রিগেডের জয় কার্য়ত নিশ্চিত করে দেন সেই গ্রেইজম্যান। পোগবার ক্রশ ম্যানুয়েল নয়্যার আংশিক সেভ করলে ফিরতি বলে গোল করে যান ইউরোর সর্বোচ্চ গোলদাতা। এরপরই লড়াই থেকে হারিয়ে জার্মানি। সেই সঙ্গে ১৯৫৮ সালের পর বিশ্বফুটবলের বড়মঞ্চে জার্মানিকে হারাল ফ্রান্স।