নিজস্ব প্রতিবেদন: এমন গল্প রোজ রোজ তৈরি হয় না। শতাব্দীতে একটা দুটোই হয়। আর যা চিরকালীন উদাহরণ হয়েই থেকে যায়।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৯৯৯ সালের মে মাসের ২৩ তারিখ। কেনিয়ার বিরুদ্ধে সচিন তেন্ডুলকরের ১৪০ রানের ইনিংস। সেটাও বিশ্বকাপে। এই শতরানটাকে স্রেফ একটা শতরান বললে ভুল বলা হবে। ওই শতরানটাই সচিনের ব্যাটের গতিমুখ পাল্টে দিয়েছিল। বাকি ১৪টা বছর যতগুলো শতরান সচিন করেছেন, তাঁর ব্যাট প্যাভিলিয়নের দিশা পরিবরতর্ন করে আকাশমুখী হয়েছে। শেষ ইনিংসেও তাই। ১০০ কোটির স্বপ্ন সত্যি করা মুম্বইয়ের সেই বিস্ময়বালক প্রতিবার আকাশে ব্যাট তুলেছেন রমেশ তেন্ডুলকরের উদ্দেশে।


আরও পড়ুন- বে ওভালে ৭ উইকেটে জয়, নিউ জিল্যান্ডে একদিনের সিরিজ জিতে নিল বিরাটের টিম ইন্ডিয়া


১৯৯৯ সালের ১৯ মে বাবাকে হারিয়েছিলেন সচিন। ৪ দিনের মাথায়ই ক্রিকেটে ফিরে আসা এবং তারপর সেই মহাকাব্যিক শতরান। ক্রীড়া জগত্-এ এই ঘটনা চিরকালের দৃষ্টান্তগুলোর মধ্যে একটি। এই অধ্যায়ে অবশ্যই লেখা থাকবে বিরাটের কথাও। বাবার মৃত্যুর পরদিনই ২২ গজে ফেরা আর তারপর অলৌকিক একটা ইনিংস খেলা। মহানায়কদের হাত ধরে এভাবেই তৈরি হয়েছে মহাকাব্য।


কেরলের ফুটবলার রিডবানের গল্পটাকে এখনই মহাকাব্যিক বলা যায় না। তবে নিঃসন্দেহে এটা একটা বিরল ঘটনাই বটে। বিয়ে করতে এসে কি না হবু বউকে অপেক্ষা করিয়ে ফুটবল খেলতে গেল পাত্র। হ্যাঁ, এটাই ঘটেছে।


আরও পড়ুন- ফিরতি ডার্বিতেও মোহনবাগানকে মাত দিয়ে ২-০ গোলে জয় ইস্টবেঙ্গলের


লাল হলুদের গোল মেশিন, ডার্বি জয়ের নায়ক জবি জাস্টিন এই ঘটনা জানলে হয়ত খুশিই হবেন। তিনি যে রাজ্যের, সেই কেরলে এখনও ফুটবলের জন্য বিয়ে আটকে রাখতে পারেন ফুটবলার!


আগে থেকে  জানতেন না। বিয়ের দিনই হঠাত্ খেলার ডাক আসে। মল্লপুরমের হয়ে খেলতে হবে। এই প্রস্তাব পেয়ে খেলা পাগল ছেলেটা পড়ে যায় মহা সমস্যায়। বিয়ে না ফুটবল? অবশেষ দুটোই হল, আগে আর পরে। অবশ্যই আগে ফুটবল তার পরে বিয়ে। ফুটবল ম্যাচের আগে হবু বউকে রিডবান শুধু বলে যান, ‘আমি ৫ মিনিটে আসছি’। তারপর  আর কী, গোটাটাই একটা রোমাঞ্চ হয়ে থাকল। ম্যাচ জিতে এসে বিয়ে করলেন কেরলের ফুটবলার।  প্রসঙ্গত, এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই তা নজরে আসে কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রকের মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌরের। তিনি রিডবানের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে টুইটও করেছেন।