জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কেরিয়ারে অসংখ্য মাইলস্টোন গড়েছেন ঝুলন গোস্বামী (Jhulan Goswami)। শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচেও একটি দুর্দান্ত মাইলস্টোন ছোঁয়ার হাতছানি রয়েছে তাঁর সামনে। লর্ডসে (Lords) ইংল্যান্ডের (England Womens Cricket Team) বিরুদ্ধে ৫৫টি (৯.১ ওভার) বল করলে একমাত্র মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ হাজার বল করার কৃতিত্ব অর্জন করবেন 'চাকদহ এক্সপ্রেস' (Chakdah Express)। শেষ ম্যাচের আগে ঝুলনের হাতে বিশেষ স্মারক তুলে দেওয়া হয় ভারতের মহিলা দলের তরফ থেকে। টিম হাডলে কেঁদে ভাসিয়ে দিলেন অধিনায়ক চোখে হরমনপ্রীত কৌর (Harmanpreet Kaur)। সেই ছবি ও ভিডিয়ো ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

টসের সময় ঝুলনকে নিয়ে আসেন হরমন। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক অ্যামি জোনস (Amy Jones) এবং হরমনের মধ্যে দাঁড়িয়েছিলেন ঝুলন। কোনও কথা বলেননি হরমন। ঝুলনই ধারাভাষ্যকারের সঙ্গে কথা বলেন। হরমনের যে কীর্তি মন জিতে নিয়েছে নেটিজেনদের। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে ঝুলনের হাতে বিশেষ স্মারক তুলে দেওয়া হয়। সেইসময় হাজির ছিল পুরো ভারতীয় দল। ঝুলনের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন হরমন। অঝোরে কেঁদে ফেলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। সেইসময় 'দিদি'-র মতো হরমনের কাঁধ চাপড়ে দেন ঝুলন। তারপর জড়িয়ে ধরে নিজের বুকে টেনে নেন হরমনকে।  সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।



এ দিকে বিদায়ী ম্যাচ খেলতে নেমেও যতটা পারলেন আবেগ ধরে রাখলেন ঝুলন। বললেন, 'আমি সবসময় নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে এসেছি। এটাই আমার চরিত্র। কারণ আমি সবসময় আগ্রাসী ক্রিকেট খেলায় বিশ্বাসী। হার্ড ক্রিকেট খেলে মাঠে নিজের সেরা পারফরম্যান্স তুলে ধরাই আমার কাজ। আর সেই কাজটা গত ২০ বছর ধরে করে এসেছি। হরমন, স্মৃতির মতো সতীর্থরা অনেক বছর ধরে আমাকে খুব কাছ থেকে দেখছে। ওরা আমার উত্থান-পতন ও অনেক লড়াইয়ের সঙ্গী।' 



২০০৫ সালের ১০ এপ্রিল। সেঞ্চুরিয়ানে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৯৮ রানে হার। এরপর ফের একটা ফাইনাল খেলতে ঝুলনকে আরও ১২ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ২৩ জুলাই লর্ডসে এ বার মিতালি রাজের সামনে ছিল ইংল্যান্ড। বিপক্ষ, সময়, ভেন্যু সব বদলে গিয়েছিল। কিন্তু চাপের ফাইনালে চুপসে যাওয়ার মধ্যে বদল ঘটেনি। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেওয়ার পরেও ভারত হেরে গিয়েছিল মাত্র নয় রানে। সেই 'ক্রিকেটের মক্কা'-তেই নিজের বিদায়ী ম্যাচ খেলার অনুভূতি কেমন? 



ঝুলন যোগ করলেন, 'এই মাঠে খেলতে নামলেই চোখের সামনে অনেক স্মৃতি ভিড় করে আসে। সবার আগে ২০১৭ সালে সেই বিশ্বকাপ ফাইনালের কথা মনে পড়ে যায়। লড়াই করেও সেই ফাইনাল আমাদের হারতে হয়েছিল। বিশ্বকাপ না জেতার আক্ষেপ কোনওদিন মিটবে না। তবে সেই লর্ডসে যে শেষ ম্যাচ খেলছি। এটাও তো বড় প্রাপ্তি। সবচেয়ে বড় কথা আমরা চলতি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছি। এখন লক্ষ্য শেষ ম্যাচ জিতে হোয়াইট ওয়াশ করার। সেটা করতে পারলে আমার কেরিয়ার পূর্ণতা পাবে।' 


ক্রিকেট কেরিয়ারে অনেক কিছুই পেয়েছেন। তবে বিশ্বকাপ জিততে পারেননি। চলতি ইংল্যান্ড সিরিজ ইতিমধ্যেই জেতা হয়ে গিয়েছে। এখন শেষ ম্যাচটা জিতে বঙ্গ তনয়া দেশে ফিরতে পারেন কিনা সেটাই দেখার। 


 



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)