ওয়েব ডেস্ক: তিনি হরভজন সিং। নয় নয় করে ১৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ার তাঁর। শুধু তাই নয়, সাফল্যও তাঁর দুর্দান্ত। ২৩৬টি একদিনের ম্যাচ খেলে তিনি উইকেট পেয়েছেন ২৬৯টি। তবু, দেশের হয়ে একদিনের ক্রিকেটে আর মাঠে নামা হয় না তাঁর। ২০১৫-র শেষের দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়াংখেড়েতে শেষবার একদিনের ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন ভারতের জার্সি গায়ে। তারপর থেকে সমানে লড়াই চালাচ্ছেন নীল জার্সিতে ফিরে আসার জন্য। এবার আইপিএলেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে তাঁর অবদানও অনেকটা। সেই হরভজন সিং সূযোগ পাননি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ১৫ জনের ভারতীয় দলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন একদিনের ক্রিকেটে বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরি করলেন বিলাল ইরশাদ


তাই বেশ খানিকটা ক্ষুব্ধ হয়েই হরভজন বলেছেন, অশ্বিনের জন্যই দলে জায়গা হল না তাঁর। একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাত্কারে হরভজন সিং বলেছেন, 'অশ্বিনকে আইপিএলে বিশ্রামে পাঠানো হল। যাতে ও সুস্থ হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে পারে। অথচ, আমি আইপিএলে ভালো পারফর্ম করেও দলে সূযোগ পেলাম না। অশ্বিন সুস্থ হয়ে গেল যে। অশ্বিন যদি সুস্থ না হতো, তাহলেই আমাকে দলে রাখা হত। দুজনের জন্য আলাদা আলাদা নিয়ম কীভাবে হতে পারে! গম্ভীরের কথাই ভাবুন না। এবারের আইপিএলে ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলেছে। প্রচুর রান করেছে। তাসত্ত্বেও ও দলে নেই। আইপিএলে ভালো খেলেও যদি ভারতীয় দলে সূযোগ না পাওয়া যায়, তাহলে ক্রিকেটাররা নিজেদের মোটিভেট করবে কীভাবে!' তখন তাঁকে বলা হয়, খারাপ ফিল্ডিংয়ের জন্যই হয়তো তাঁকে এবং গম্ভীরকে দলে ডাকা হয়নি। এই ভারতীয় দলের তরুণ ক্রিকেটারদের ফিল্ডিংয়ের মান দুর্দান্ত। হরভজন বলেন, 'তাহলে তো সেই কথাটাও কাউকে আমাকে জানাতে হবে। যে এই কারণে আমাকে নেওয়া হল না। আমি তাহলে প্র্যাকটিসে আরও বেশি খাটতাম ফিল্ডিংয়ের জন্য। কিন্তু দলে না নেওয়ার কোনও কারণ, কেউ আমাকে জানায়নি। তবে, অনিল ভাই এবং বিরাটের দলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার জন্য।'


আরও পড়ুন  একদিনের ক্রিকেটে গর্বের ইতিহাস তৈরি করল বাংলাদেশ