ICC Women`s World Cup 2022, INDWvsAUSW : কোন অঙ্কে শেষ চারে Mithali Raj-এর ভারত? জানতে পড়ুন
ঝুলনদের বাকি দুটি ম্যাচ জিততেই হবে। আগামী ২২ মার্চ বাংলাদেশ এবং আগামী ২৭ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নামতে চলেছে মিতালি রাজের দল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হেরে মহিলা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছানোর কাজটা কঠিন করে ফেলল ভারত। এতদিন পর্যন্ত মিতালি রাজ-হরমনপ্রীতদের হাতেই সেমিফাইনালে পৌঁছানোর চাবিকাঠি ছিল। কিন্তু এই ম্যাচ হারের পর ভারত শেষ চারে পৌঁছাবে কিনা, সেটা নিয়ে উঠে গেল প্রশ্ন। সামনে এল অনেক সমীকরণ।
ঝুলনদের বাকি দুটি ম্যাচ জিততেই হবে। আগামী ২২ মার্চ বাংলাদেশ এবং আগামী ২৭ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নামতে চলেছে মিতালি রাজের দল। যে দুই ম্যাচে জিততেই হবে। সেই দুই ম্যাচে জয় এলে সাত ম্যাচে ভারতের পয়েন্ট দাঁড়াবে আট। একই পয়েন্ট পেতে পারে আরও দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ড/ইংল্যান্ডের মধ্যে যে কোনও একটি দল। ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়া শেষ চারে উঠে গিয়েছে। ফলে সেমিফাইনালে তিনটি স্থানের জন্য চারটি দলের মধ্যে জোর লড়াই হবে। সে ক্ষেত্রে নেট রানরেটের বিচারে এগিয়ে থাকা দল, সেমি ফাইনালের টিকিট পাবে।
১) ২০ মার্চ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামবে ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচে অবশ্যই কিউইদের জয়ের দিকে তাকিয়ে ভারত। নিউজিল্যান্ড জিতে গেলে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যাবে গত বারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। সেটা হলে শেষ চারের লড়াইয়ে কমে যাবে একটি দল। কিন্তু মিতালির দল কেন কিউইদের জয় চাইবে? রবিবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ড জয় পেলে ভারতের থেকে দুই পয়েন্ট বেশি থাকবে। তবে তাঁরা একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে। অন্যদিকে ভারত পরবর্তী দুটি ম্যাচ জিতলে দুটি দলের পয়েন্ট গিয়ে দাঁড়াবে আট। এছাড়া কিউয়িদের থেকে ভারতের নেট রানরেট অনেকটাই ভাল। তাই দুই দল আট পয়েন্টে শেষ করলে ভারতের রান রেটের বিচারে থাকবে।
২) এ দিকে ইংল্যান্ড যদি কিউইদের হারিয়ে দেয় তাহলে পাঁচ ম্যাচে চার পয়েন্ট হবে। ভারত এবং ইংল্যান্ডের নেট রানরেটের ফারাক কম থাকায় মিতালিদের ছাপিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে ইংল্যান্ড। এরমধ্যে ইংল্যান্ড আবার শেষ দুটি ম্যাচ বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে। ক্রিকেট পন্ডিতদের দাবি, এই দুটি ম্যাচ বড় ব্যবধানে জিততে পারে ইংল্যান্ড। ফলে ইংল্যান্ডের নেট রানরেট মিতালির দলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই ইংল্যান্ডের থেকে কিউয়িদের জয়ে বেশি লাভ হবে ভারতের।
৩) ২২ মার্চ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের জয় চাইবে ভারত। কারণ ক্যারিবিয়ানরা সেই ম্যাচে জিতলে ছয় ম্যাচে পয়েন্ট দাঁড়াবে আট।
৪) শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জিতলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্ট হবে ১০। আর হেরে গেলে সেই আট পয়েন্টে থেমে যাবে ক্যারিবিয়ানরা। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেরে গেলে ভারতের কিছুটা সুবিধা হবে। কারণ সেক্ষেত্রে ভারত এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্ট দাঁড়াবে আট (ভারত বাকি দুটি ম্যাচ জিতবে ধরে নিয়ে)। এ দিকে রান রেটের বিচারেও এগিয়ে রয়েছে। তাছাড়া গ্রুপ পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দেওয়ার জন্য এগিয়ে থাকবে ভারতীয় দল।
৫) অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে নামার আগেই সেমিফাইনালে পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ আছে দক্ষিণ আফ্রিকার। সেটা হলে বাকি দুটি স্থানের জন্য লড়াই হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড বা ইংল্যান্ড এবং ভারতের মধ্যে। সেক্ষেত্রে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকারই জয় চাইবে ভারত।
৬) অস্ট্রেলিয়ার মতো দক্ষিণ আফ্রিকায় দারুণ ছন্দে রয়েছে। চারটি ম্যাচেই জিতেছে প্রোটিয়াসরা। ২২ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াসরা সেই ম্যাচ জিতে গেলে, অজিদের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ চারে চলে যাবে। আর হেরে গেলে আট পয়েন্টেই থাকবে।
সেক্ষেত্রে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় দল নির্ধারিত হবে। যে দল জিতবে (ক্যারিবিয়ানরা পাকিস্তানকে হারিয়ে ধরে নিয়ে), সেই দলের পয়েন্ট ১০ হবে। উঠে যাবে সেমিফাইনালে। যে ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়েই গলা ফাটাতে পারে ভারত। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে নেট রানরেটের লড়াই হলে ভারতের পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল (অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ভারতের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা হারবে ধরে নিয়ে। নাহলে একটি ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনালে পৌঁছে যাবেন প্রোটিয়াসরা)।