নিজস্ব প্রতিবেদন: কার্ডিফের মাঠ ছোট। কিন্তু ৩৮৭ রানটা অনেকটাই। বাংলাদেশের মতো ব্যাটিং লাইনআপের কাছে তা এভারেস্টসমই। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং তাণ্ডবের সামনে ১০৬ হারল বাংলাদেশ। তবে রান তাড়া করতে নেমে অনবদ্য সেঞ্চুরি হাঁকালেন অলরাউন্ডার সাকিব-আল-হাসান। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রথমে ব্যাট করে এদিন কার্ডিফের ছোট মাঠের সুযোগ তোলেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। উদ্বোধনী জুটিতেই ওঠে ১২৮ রান। জেসন রয় করেন ১২১ বলে ১৫৩। আর এক ওপেনার জনি বেয়ারেস্টো আউট হন ৫১ রানে। একটা সময়ে মনে হচ্ছিল, ইংল্যান্ড বোধহয় চারশো রান পার করে ফেলবে। কিন্তু শেষের দিকে তেমন আক্রমণাত্মক ব্যাট চালাতে পারেননি ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। ৩৮৬ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ডের ইনিংস। কার্ডিফের মাঠ ছোট হলেও ৩৮৭ রানের লক্ষ্য অনেকটাই বড়। 


৩৮৭ রানের লক্ষ্যের পিছনে ধাওয়া করতে নেমে শুরুতেই সৌম্যর উইকেট খুঁইয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ইনিংস টানতে থাকেন তামিম ইকবাল ও সাকিব। তামিম ১৯ রানে ফেরার পর দলের হাত ধরেন সাকিব ও মুশফিকুর। কিন্তু দুজনের ব্যাটিং দেখে কখনই মনে হয়নি, ইংল্যান্ডের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেছে বাংলাদেশ। বরং কতটা কম রানে হারা যায়, সেই লক্ষ্যেই ব্যাট করে গিয়েছে বাংলাদেশ। একটা পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, ওভারে প্রায় ৮ রান তাড়া করতে হতো, এমন বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সাকিব ১১৯ বলে করেছেন ১২১। আর ৫০ খেলে ৪৪ করেছেন মুশফিকুর। আর আছে, ৩৮ তম ওভারে বেন স্টোকসকে মেডেন ওভার দেন শতরানকারী ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান। অথচ ওটাই ছিল স্টোকসের প্রথম ওভার। এতেই স্পষ্ট রান তাড়া করার বাসনাই ছিল না বাংলাদেশের।


শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ওভারপিছু ১৬.৩০ রান। তখনই ম্যাচের উপসংহার লেখা হয়ে গিয়েছিল। ৪৮.৫ ওভারে ২৮০ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ১০৬ রানে জিতল ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের প্রাপ্তি, বিশ্বকাপের মঞ্চে সাকিবের শতরান।                          


আরও পড়ুন- রেশনে ২টাকা কিলো চালে দুর্নীতি রোধে চাপ মোদীর, তড়িঘড়ি পদক্ষেপ রাজ্যের