Mumbai Test: Mayank এর সেঞ্চুরি, সংযমী Wriddhiman, ২২১ রান ভারতের ঝুলিতে
২ বছর পর ক্রিকেটের দীর্ঘতম সংস্করণে শতরান পেলেন ময়াঙ্ক আগরওয়াল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে ভারত-নিউজিল্যান্ড (India vs New Zealand) চলতি দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় তথা অন্তিম ম্যাচ। খেলা শুরুর আগেই রীতিমতো বড় ধাক্কা খেয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। চোটের জন্য মুম্বই টেস্ট (Mumbai Test) থেকে ছিটকে যান দলের তিন তারকা-অজিঙ্কা রাহানে (Ajinkya Rahane), রবীন্দ্র জাদেজা (Ravindra Jadeja) ও ইশান্ত শর্মা (Ishant Sharma)। এই তিনের পরিবর্তে ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli), জোরে বোলার মহম্মদ সিরাজ (Mohammed Siraj) ও স্পিনার জয়ন্ত যাদবকে (Jayant Yadav) নিয়ে হল প্রথম একাদশ।
মুম্বই টেস্টের প্রথম দিনে ভেজা পিচের জন্য খেলা শুরু হয়েছে দুপুর ১২টা থেকে। খেলা চলে বিকাল ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। ৭৮ ওভার খেলা হওয়ার কথা ছিল। খেলা হল ৭০ ওভার। টস জিতে প্রথম ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া ভারত প্রথম দিনের শেষে চার উইকেট হারিয়ে তুলল ২২১ রান। সৌজন্যে ময়াঙ্ক আগরওয়ালের (Mayank Agarwal) অনন্য সেঞ্চুরি ও তাঁর সঙ্গী হিসাবে ঋদ্ধিমান সাহার (Wriddhiman Saha) সংযমী ইনিংস।
এদিন কোহলি টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন এদিন। ময়াঙ্ক ও শুভমান গিল ভারতের হয়ে ইনিংস ওপেন করেন। ব্যক্তিগত ৪৪ রান করে আউট হয়ে যান গিল। ৮০ রানে ভারত প্রথম উইকেট হারায়। এরপর তিনে নামা চেতেশ্বর পূজারা (০) ও বিরাট কোহলি (০) কোনও রান যোগ না করেই আউট হয়ে যান। ৮০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ভারত রীতিমতো ধুঁকতে থাকে। এরপর পাঁচে আসা শ্রেয়স আইয়ারও ১৮ রান করে আউট হয়ে যান। ময়াঙ্কের হাত শক্ত করতে আসেন ঋদ্ধিমান সাহা। ময়াঙ্কের সেঞ্চুরিতে ভারত ২০০ রানের গণ্ডি টপকায়। দিনের শেষে ময়াঙ্ক (২৪৬ বলে ১২০) ও ঋদ্ধিমান (৫৩ বলে ২৫ রান) অপরাজিত থাকেন। তাঁদের ৬১ রানের যুগলবন্দিতে ভারত ২২০ রানের গণ্ডি টপকায়।
আরও পড়ুন: India vs New Zealand: ২ বছর পর টেস্ট সেঞ্চুরি! চাপের মুখে অসাধারণ Mayank Agarwal
২ বছর পর ক্রিকেটের দীর্ঘতম সংস্করণে শতরান পেলেন ময়াঙ্ক আগরওয়াল (Mayank Agarwal)। দলের প্রয়োজনে চাপের মুখে অসাধারণ ইনিংস উপহার দিলেন ভারতীয় ওপেনার। কেরিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি ময়াঙ্কের স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এদিনের আগে ময়াঙ্ক ২০১৯ এর নভেম্বরে শেষবার সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছিলেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইন্দোরে করা সেঞ্চুরিকে তিনি দ্বিশতরানে বদলে ছিলেন। তারপর থেকে ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফর্ম্যাটে ময়াঙ্ক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। বিগত ৭টি টেস্টে মাত্র একবার ফিফটি-প্লাস ইনিংস আসে তাঁর। কানপুর টেস্টে ময়াঙ্কের দুই ইনিংস মিলিয়ে আসে ৩০ রান (১৩ ও ১৭)। অবশেষে শাপমুক্তি হল ময়াঙ্কের।