নিজস্ব প্রতিবেদন: জলে গেল রিঙ্কু সিংয়ের (Rinku Singh) লড়াই। মাত্র দুই রানে লখনউ সুপার জায়ান্টের (Lucknow Super Giants) কাছে হার। আর এই হারের পরেই চলতি আইপিএল (IPL 2022) থেকে বিদায় নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders)। কিন্তু কেন শ্রেয়স আইয়ারের (Shreyas Iyer) দল এ বার প্লে-অফে টিকিট অর্জন করতে পারল না? মুম্বই থেকে জি ২৪ ঘণ্টার কাছে পাঁচটি কারণ তুলে ধরলেন দীপ দাশগুপ্ত (Deep Dasgupta)। দেখে নিন... 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিলাম টেবিলেই প্রথম ভুল: আমার মতে নিলাম মঞ্চে কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট প্রথম ভুল করেছে। বরুণ চক্রবর্তী, ভেঙ্কটেশ আইয়ার ভাল খেলতে পারেনি সেটা আমরা বলতেই পারি। কিন্তু প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগে খাতায়-কলমে নাইটদের প্রথম একাদশ দারুণ ছিল। তবে ব্যাক আপ নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট একেবারেই ভাবেনি। কোনও ক্রিকেটার ফর্ম হারালে, সেই জায়গায় অন্য কাউকে খেলানোর ব্যাপারে সঠিক চিন্তা ভাবনা ছিল না। এরসঙ্গে যোগ হয়েছে রাহুল ত্রিপাঠির মতো ছন্দে থাকা ব্যাটারকে ছেড়ে দেওয়া। গত মরশুমে ফাইনাল খেলার নেপথ্যে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন রাহুল। তাই ওঁকে ছেড়ে দেওয়া মস্ত বড় ভুল। চলতি মরশুমে রাহুল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে কেমন পারফরম্যান্স করছে সেটা কিন্তু সবাই দেখছেন। 


শ্রেয়স আইয়ার ও রিটেন করা চার ক্রিকেটার ছন্দহীন: ১৪ ম্যাচে মাত্র ৪০১ রান। গড় ৩০.৮৫। স্ট্রাইক রেট ১৩৪.৫৬। একাধিক সিনিয়র ক্রিকেটারের সঙ্গে শ্রেয়স আইয়ার ব্যাট হাতে একেবারেই নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি। আমার মতে শ্রেয়স যে ধরনের ক্রিকেটার, তাতে ওর আরও বেশি রান করা উচিত ছিল। সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, বরুণ চক্রবর্তী, ভেঙ্কটেশ আইয়ারের উপর অনেক ভরসা করে তাদের রিটেন করেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু ওরা নিজেদের যোগ্যতা অনুসারে পারফরম্যান্স করতে পারেনি। 


 



প্রথম একাদশে ঘন ঘন বদল: প্রথম থেকে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত কেকেআর তাদের সেরা প্রথম একাদশ খেলাতেই পারেনি। শুরুটা ভাল করেছিল কলকাতা। প্রথম চার ম্যাচের মধ্যে তিনটি জেতার পরে, দলে একাধিক বদল করা হয়। সেইজন্য পরপর পাঁচটি ম্যাচ হেরে গিয়েছিল নাইটরা। এটাও কিন্তু আইপিএল-এর গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের অন্যতম বড় কারণ। কিন্তু কেন ওরা এত বদল করল ভেবেই পাচ্ছি না। প্রথম একাদশে এত বদল করলে ক্রিকেটাররা আত্মবিশ্বাস হারাবে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে। নাইটদের ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে। দলে একাধিক বদল হলে কোনও খেলোয়াড় খোলা মনে খেলতে পারবে না। তারা ভয় পাবে। খোলা মনে খেলতে পারবে না। এতে তো সবচেয়ে ক্ষতি হবে দলেরই। কোনও খেলোয়াড় দুটি ম্যাচে পারফরম্যান্স করতে না পারলেই, তাঁকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। এতে সেই খেলোয়াড় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকার পাশাপাশি দলের বাকিদের আত্মবিশ্বাসেও আঘাত লাগবে। ফলে আগ্রাসী মনোভাবের ক্রিকেট খেলা সম্ভব নয়। বরং ক্রিকেটাররা নিজেদের জায়গা বাঁচানোর জন্য খেলবে। 


প্যাট কামিন্সের চোট: প্যাট কামিন্সের চোট নাইটদের বড় ধাক্কা দিয়ে চলে গেল। কামিন্স পুরো আইপিএল জুড়ে ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেনি। তবে এটাও ঠিক যে ও কিন্তু একজন ম্যাচ উইনার। শুধু বল নয়, ব্যাট হাতেও কামিন্স সফল। তাই ওর বিকল্প পাওয়া রাতারাতি সম্ভব ছিল না। ভাগ্য ভাল যে সুনীল নারিন ও আন্দ্রে রাসেল চোটের কবলে পড়েনি। তাহলে নাইতদের সমস্যা আরও বাড়ত। 


থিঙ্কট্যাঙ্কের মধ্যে মতের বিস্তর অমিল: আমার মতে নাইট টিম ম্যানেজমেন্টের মধ্যে একাধিক ইস্যুতে মতের অমিল ছিল। অধিনায়ক, হেড কোচ, সাপোর্ট স্টাফরা একসঙ্গে ভাবতে পারেনি। এরমধ্যে যোগ হয়েছিল দল নির্বাচনে নাইটদের সিইও ভেঙ্কি মাইসোরের হস্তক্ষেপ। কয়েক দিন আগেই শ্রেয়স এই বিষয়টা সবার সামনে নিয়ে এসেছিল। এটাও কিন্তু নাইটদের খেই হারানোর অন্যতম বড় কারণ। 


আরও পড়ুন: Quinton de Kock: ডিভিলিয়ার্সকে টপকে ডি কক লিখলেন নয়া আইপিএল ইতিহাস


আরও পড়ুন: De Kock-KL Rahul: ডি কক-রাহুলের ব্যাটে রেকর্ডের ছড়াছড়ি, লেখা হল নতুন আইপিএল ইতিহাস


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)