নিজস্ব প্রতিবেদন: ম্যাচ রিপোর্ট লিখতে গিয়ে শাহরুখ খানের ‘রইস’ সিনেমার সেই বিখ্যাত ডায়ালগ মনে পড়ে গেল। ‘গুজরাত কি হাওয়া মেই ব্যাপার হ্যায় সাহিব।‘ ডেভিড মিলার ও হার্দিক পান্ডিয়ার মাত্র ৬১ বলে ১০৬ রানের জুটি ম্যাচে ভাগ্য বদলে দিল। মঙ্গলবার রাজস্থান রয়্যালসকে সাত উইকেটে হারিয়ে সোজা চলতি আইপিএল-এর ফাইনালে চলে গেল গুজরাত টাইটান্স।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই হারের ফলে রাজস্থানের হয়ে ব্যাট হাতে বাটলারের খেলা ৮৯ রানের অনবদ্য ইনিংস বিফলে গেল। রাজস্থানকে এ বার খেলতে হবে এলিমিনেটরে।


রান তাড়া করতে নেমে শূন্য রানে ফিরে যান ঋদ্ধি। তাঁর ঘরের মাঠের দর্শকদের ব্যাট হাতে নিরাশ করেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে ম্যাথু ওয়েড এবং শুভমন গিল ৭২ রানের জুটি গড়েন। শুভমন ব্যাট করার ইডেন থেকে ‘কেকেআর, কেকেআর’ আওয়াজও শোনা যায়। গত মরসুম পর্যন্ত কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলা শুভমনের কাছেও ইডেন যে ঘরের মাঠই ছিল একসময়। ২১ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। ওয়েডও ৩৫ রান করে আউট হন।



এরপর আবার জুটি বেঁধে ইনিংসের হাল ধরেন অধিনায়ক হার্দিক এবং ডেভিড মিলার। এই জুটিই শেষপর্যন্ত রাজস্থানের বাড়া ভাতে ছাই দিয়ে দেয়। মিলার ৩৮ বলে ৬৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। শেষ ওভারে যখন ১৬ রান দরকার ছিল, তখন প্রথম তিন বলেই ছক্কা হাঁকান তিনি। তাতেই বদলে যায় ম্যাচের ফল। তিন বল বাকি থাকতেই ৩ উইকেটে ১৯১ রান তুলে ফাইনালে চলে গেল গুজরাত।


আগের তিনটি ম্যাচে রান পাননি। ক্রিকেটের নন্দনকাননে তিন ম্যাচের ব্যর্থতা কাটিয়ে আবার জ্বলে উঠলেন জস বাটলার। তাঁর দাপটেই প্রথম কোয়ালিফায়ারে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে বড় রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল রাজস্থান রয়্যালস। নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলল ১৮৮/‌৬। ক্রিকেটের নন্দনকানন মাতালেন জস বাটলার।


চলতি আইপিএল-এ টস ভাগ্য একেবারে সহায় ছিল না সঞ্জু স্যামসনের। লিগ পর্বে ১৪ ম্যাচের মধ্যে ১২টিতেই টসে হারতে হয়েছিল। প্রথম কোয়ালিফায়ারেও ভাগ্য সহায় হল না। হার্দিক পান্ডিয়ার কাছে আবারও টসে হার। এবং প্রথমে ব্যাট করার ডাক। ব্যাট করতে নেমে এদিন দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় রাজস্থান। যশ দয়ালের বলে উইকেটের পেছনে ঋদ্ধিমান সাহার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন যশস্বী জয়সওয়াল (‌৩)‌। এরপর ক্রিজে নেমে ঝড় তোলেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। আগের তিন ম্যাচে রান না পাওয়া জস বাটলার এদিন শুরু থেকেই ছিলেন সতর্ক। খুব বেশি আক্রমণের রাস্তায় হাঁটেননি। ঝড় না তুলে ইনিংস গড়ার দিকে নজর দেন। দুজনের জুটিতে ওঠে ৬৮ রান। সাই কিশোরকে ৬ মেরে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে গিয়ে লং অন বাউন্ডারির ধারে আলজেরি জোশেফের হাতে ধরা পড়েন সঞ্জু। ২৬ বলে তিনি করেন ৪৭ রান।


সঞ্জু আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসে রাজস্থানের রানের গতি ধরে রাখেন দেবদত্ত পাড়িক্কল। ২০ বলে ২৮ রান করে তিনি হার্দিক পান্ডিয়ার বলে বোল্ড হন। রাজস্থান ব্যাটাররা এদিন রশিদ খানের ওপর খুব বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার সুযোগ পাননি। কোনও উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচ করেন রশিদ। রশিদ খানের কোটা শেষ হওয়ার পরেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন বাটলার। ৩৮ বলে তাঁর রান ছিল ৩৯। সেখান থেকে ৪২ বলে তিনি হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এই নিয়ে চলতি আইপিলে চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি করলেন বাটলার। হেটমায়ার এদিনও দলকে ভরসা দিতে পারলেন না। ৭ বলে মাত্র ৪ রান করে তিনি মহম্মদ সামির বলে রাহুল তেওয়াটিয়ার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ‘‌বাটলার শো’‌ অবশ্য অব্যাহত থাকে। শেষ পর্যন্ত তিনি ৫৬ বলে ৮৯ রান করে রান আউট হন। গুজরাটের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন সামি, যশ দয়াল সাই কিশোর ও হার্দিক।


আরও পড়ুন: Wriddhiman Saha, IPL 2022: খালি হাতে ফিরলেও হতাশ নন দেবারিত, Gujarat-এর জন্য করলেন প্রার্থনা


আরও পড়ুন: IPL 2022, Yashasvi Jaiswal: দ্বিধায় আম্পায়ার, নিজেই মাঠ ছেড়ে স্পোর্টসম্যানশিপের উদাহরণ দিলেন Rajasthan-এর ওপেনার


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App