Jasprit Bumrah, ENG vs IND: ডারবানের পর এজবাস্টন, বুমরার বিশ্ব রেকর্ডে হতবাক প্রাক্তন কোচ

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এক ওভারে ৩৬ রান হোক কিংবা ৩৫, ভারতীয় ক্রিকেটের (Indian Cricket) সঙ্গে যুক্ত এমন আইকনিক ঘটনার সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে যুক্ত রয়েছেন রবি শাস্ত্রী (Ravi Shastri)। ফের একবার 'শাস্ত্রী যোগ' দেখা গেল। নিজে রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) ম্যাচে ছয় ছক্কা মেরেছেন। ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) স্টুয়ার্ট ব্রডকে (Stuart Broad) যখন তুলোধোনা করেন তখন ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) প্রাক্তন কোচ। আর এ বার জসপ্রীত বুমরা-র (Jasprit Bumrah) ব্যাটিং কীর্তির সময়ও এজবাস্টনে মাইক হাতে ছিলেন শাস্ত্রী। ৪,৫, ৬ (নো বল-১), ৪, ৪, ৪, ৬, ১ = ৩৫ রান নিয়েছেন 'বুম বুম বুমরা'। 

বুমরা এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন ব্রায়ান লারা (Brian Lara)। তিনি ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) রবিন পিটারসেনের (Robin Peterson) বলে ২৮ রান নিয়েছিলেন। বুমরা সেই রেকর্ড নিজের নামে করে নেওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের (West Indies) প্রাক্তন অধিনায়ক দুই নম্বরে নেমে এলেন। তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার (Australia) জর্জ বেলি (George Bailey)। তিনি ২০১৩ সালে জেমস অ্যান্ডারসনের (James Anderson) বিরুদ্ধে ২৮ রান নিয়েছিলেন। চারে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি কেশব মহারাজ (Keshav Maharaj)। তিনি জো রুটের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে ২৮ রান করেন।  

ভারতের ইনিংসের সেই ৮৪ তম ওভারে বল করতে আসেন ব্রড। বুমরাকে শর্ট বল করেন। ব্যাটের কাণায় বল লেগে চার হয়ে যায়। দেখে মনে হচ্ছিল, জেমস অ্য়ান্ডারসনকে শর্ট বল করার জন্য তিনি বুমরার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিচ্ছেন। সেটা করতে গিয়ে আরও প্যাঁচে পড়েন ব্রড। দ্বিতীয় বলটা শর্ট করেন। ব্যাটার এবং উইকেটকিপারের মাথার উপর দিয়ে পাঁচ রান হয়। 

পরের বলটিও বুমরার ব্যাটের কাণায় লাগে। এ বার তো ছক্কা মারেন অধিনায়ক। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো ক্রিজের বাইরে পা ছিল ব্রডের। ফলে নো বল ডাকা হয়। ফ্রি হিটে ফুলটস উপহার দেন ব্রড। মিড অনের দিয়ে সপাটে চার মারেন বুমরা। পরের বল আবার ব্যাটের কাণায় লেগে চার হয়ে যায়। পরের বলটা ডিপ স্কোয়ার লেগের বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে দেন বুমরা। মাটিতেও পড়েও যান ভারতের অধিনায়ক। পঞ্চম বলে একেবার ক্যারিবিয়ান স্টাইলে ছক্কা মারেন। অর্থাৎ পাঁচটি বৈধ বলে ৩৪ রান উঠে যায়। শেষ বলটা ইয়র্কার করেন ব্রড। তাতে এক রান নেন বুমরা। এর ফলে সব মিলিয়ে ব্রডের ওভারে ৩৫ রান ওঠে।

১৯৮৪-৮৫ মরসুমে বরোদার তিলক রাজকে ছয় ছক্কা মেরে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন শাস্ত্রী। বুমরাও তাঁর সামনে ব্রডকে মারলেন। তবে ফারাক শুধু এক রানের।