নিজস্ব প্রতিবেদন: ১৫ মাস আগে যশপ্রীতের একটা ছোট্ট ভুলেই পাল্টে গিয়েছিল গোটা দলের ভাগ্য। তীরে এসেও ডুবেছিল ভারতের তরী। হাতছাড়া হয়েছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। সেদিন যদি যশপ্রীত বুমরাহ নো  বল না করতেন, তাহলে ফকর জামানের আর শতরান করা হত না। আর সেটা না হলে ট্রফি জয় তো দূর, ট্রফির ধারের কাছেও ঘেঁষতে পারতেন না সরফরজ আহমেদ, শোয়েব মালিকরা। একটা নো বল, যা সেদিন পাকিস্তানের জন্য সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে এনেছিল, অন্যদিকে সেটাই হয়ে উঠেছিল যশপ্রীতের জীবনের সবথেকে বড়  দুর্ভাগ্য। সেদিন থেকেই যশপ্রীতের গায়ে সাঁটা হয়ে গিয়েছে নো বলের ‘কলঙ্ক’।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- "২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারত দারুন ফল করবে" ,বললেন সৌরভ গাঙ্গুলি



জয়পুর পুলিস যশপ্রীতের নো বলের ছবি ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন করল। সরকারি বিজ্ঞাপনে লেখা হল, ‘ডোন্ট ক্রস দ্য লাইন, ইউ নো ইটস কস্টলি’। অর্থাত্, সীমারেখা লঙ্ঘন করলে, তার খেসারত দিতে হবে – এই বক্তব্যে ‘খলনায়ক’-এর আসনে বসানো হয়েছিল ভারতীয় স্পিডস্টার যশপ্রীত বুমরাহকে। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই, সেই অপমানের যোগ্য জবাব দিলেন তিনি।



এশিয়া কাপে ভারত পাকিস্তানকে কার্যত নাকানিচোবানি খাইয়েছে। পরপর দুই ম্যাচেই বিরাট ব্যবধানে জিতেছে ভারত। ফাইনালেও শেষ বলে জয় ছিনিয়ে এনেছে তাঁরা। আর এই জয়ে দলের অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন  যশপ্রীতও।  এশিয়া কাপে ৪ ম্যাচে ৮ উইকেট রয়েছে তাঁর। সেরা পারফরম্যান্স ৩৭ রানে ত উইকেট। আর তাঁর গড় ৩.৯৭। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ফাইনালে মাশরাফি মোর্তাজার উইকেটটাও তাঁর দখলেই রয়েছে। এই পারফরম্যান্সের পর যশপ্রীত মনে করছেন, এবার বোধহয় খানিকটা হলেও ‘কলঙ্ক ঘুচবে’। সেই মতো এশিয়া কাপ ট্রফি হাতে একটি ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন এই ভারতীয় স্পিডস্টার। এবং সেখানে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, “অনেকেই নিজের সৃজনশীলতা সাইনবোর্ডে দেখান। এবার এই ছবিটাও সেখানে জায়গা পাবে।”