নিজস্ব প্রতিবেদন: সাল ১৯৮৭, তারিখ ২৪ জুন। আর্জেন্টিনার রোজারিওতে জন্মানো বাচ্চাটা পায়ের সমস্যার জন্য বছরে পর বছর ভুগেছিল। মাত্র ১১ বছর বয়সে গ্রোথ হরমোন ডেফিসিয়েন্সি ( হরমোনের প্রভাবে শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি থেমে যাওয়া) ধরা পড়েছিল। রাতের পর রাত পায়ের মধ্যে সূঁচ ফুটিয়ে চিকিৎসা চলতো। তিন বছর এভাবে চলেছিল। পিট্যুইটারি গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোনের তারতম্যের জেন্যে তাঁর শারীরিক বৃদ্ধি থেমেছিল একটা সময়। দীর্ঘ চিকিৎসার পর বাচ্চাটা সেরে ওঠে ঠিকই। কিন্তু পরে তাঁর ওই পা-ই গোটা বিশ্বকে কাঁদিয়ে দিল। বাঁ-পায়ের জাদুকরকে গোটা পৃথিবী চেনে লিওনেল মেসি (Lionel Messi) নামে। আজ ৩৪ বছরে পা দিলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিও মেসি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৬ বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী আর্জেন্টাইন রাজপুত্র আজও ভোলেননি সেই মানুষটাকে, যাঁর হাত ধরে সে প্রথম ফুটবল মাঠে এসেছিল। তাঁর নাম সিলিয়া অলিভেইরা (Celia Oliveira Cuccittini)। সম্পর্কে মেসির ঠাকুমা। যাঁর অনুপ্রেরণায় মেসির ফুটবল খেলা শুরু। মেসির অনেক ফ্যানেরা আজও জানেন না যে, এলএম টেন প্রতিটি গোলের পর আকাশের দিকে তাকিয়ে স্মরণ করেন তাঁর প্রয়াত ঠাকুমাকে। মেসি শুনতে পান ওপর থেকে তাঁর নাম ধরে আজও গলা ফাটাচ্ছেন সিলিয়া।


আজও পড়ুন: ISL 2021: EURO 2020 খেলা 'ফিনল্যান্ডের মেসি' Joni Kauko কে সই করাল ATKMB


'দ্য ফ্লি-দ্য অ্যামেজিং স্টোরি অফ লিও মেসি' (The Flea - The Amazing Story of Leo Messi) মিশেল পার্ট লিখেছেন যে, মেসির বয়স অল্প ছিল বলে স্থানীয় ক্লাবের কোচ তাঁকে একদমই দলে নিতে রাজি হননি। মেসির ঠাকুমার জোরাজুরিতেই কোচ তাঁকে দলে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। বাকিটা ইতিহাস। যে ক্লাবে মেসি খেলেছিলেন, সেই ক্লাবটি ছিল সেখানকার সবচেয়ে পড়তি ক্লাব। মেসির একদম খেলার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু ঠাকুমাই তাঁকে বলেছিলেন, একটা 'খারাপ' ক্লাবের একটা ভাল ফুটবলারকেই প্রয়োজন। ঠাকুমার এই কথাই মেসিকে তাতিয়ে দিয়েছিল।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)