ওয়েব ডেস্ক: ব্যাট করেননি, বোলিংও করেননি। এমন কোনও রান আউটও ধোনির হাত থেকে এজবাস্টনে হয়নি যা দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের মতই মোড় ঘুরিয়েছে বাংলাদেশের ম্যাচেও। তাহলে কীভাবে ম্যাচ জেতালেন ধোনি? উত্তরের প্রথমেই জানিয়ে দেওয়া যাক বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ জয়ের পর কেদার যাদবের উক্তি। "মুখে কথা বলার প্রয়োজন নেই, ধোনির চোখই সব কাজ করে দেয়", ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা দলের উইকেট কিপার মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে এই মন্তব্যই করেছেন 'ম্যাচ উইনার' কেদার যাদব। এবার আসা যাক আসল কথাটায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের বড় জয়। ৯ উইকেটে বেঙ্গল টাইগারদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে ভারত, এই খবরটা এখন 'পচে যাওয়া খবর', সবাই জানে। রোহিত শর্মা সেঞ্চুরি করেছেন, বিরাট দূর্দান্ত ব্যাট করেছেন, সবাই দেখেছেন এটা। আর না দেখে থাকলে ইউটিউবে দেখে নেবেন। তবে যে বিষয়টার হাইলাইটস একেবারেই সম্ভব নয় তা হল ধোনির চোখের 'অঙ্গভঙ্গি'। প্রথমত, ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট যেটা, পার্ট টাইমার কেদার যাদবকে দিয়ে বল করানোর সিদ্ধান্ত, কোহলি কেদারের হাতে বল তুলে দিলেও এই সিদ্ধান্তের পিছনে ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। বিরাটকে পরমার্শ দেন তিনিই। এরপর চোখের ইশারায় কেদারকে বুঝিয়ে দেওয়া ঠিক কোথায় বল করতে হবে। "আমি যখন বল করছিলাম ধোনি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে ছিল এবং আমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছিল ঠিক কোথায় বলটা করতে হবে", এমনই জানিয়েছেন কেদার। আর এখানেই বাজিমাত। ইনফর্ম ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল (৭০) এবং ভয়ংকর হয়ে ওঠা মুশফিকুর রহিম (৬১), এই দুই উইকেট পরপর তুলে নিয়েই বাংলাদেশকে ২৬৪ রানে বেঁধে দিতে পেরেছে ভারত। ৬ ওভারে ২২ রান দিয়ে দুই মূল্যবান উইকেট তুলে নেওয়া, এটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। আর এখানে 'ম্যাচ টার্নারের' ভূমিকায় ছিলেন মাহিই, এমনই মত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশের। 


উল্লেখ্য, মহেন্দ্র সিং ধোনির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি ভারতীয় ক্রিকেটের উঠতি তারকা কেদার যাদব। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "ধোনি আমাকে তাঁর সমস্ত অভিজ্ঞতা দিয়ে সাহায্য করেছে, যা আমার ক্রিকেটকে আরও উন্নত করছে"।