জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ড্র করে বিপাকে ম্যানচেস্টার সিটি (Manchester City)। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের (Champions League) শেষ ১৬-র প্রথম লেগে আরবি লাইপজিগের (RB Leipzig) ঘরের মাঠে ড্র করে বেশ চাপে তারা। লাইপজিগের বিপক্ষে তাদের প্রথমার্ধে আধিপত্য খেলার শেষ অবধি বজায় রাখতে ব্যর্থ হয় তারা। ১-১ গোলে অমীমাংসিত অবস্থায় শেষ হয় ম্যাচ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার রাতে রেডবুল এরিনায় (Red Bull Arena Leipzig) প্রথমার্ধ ছিল পেপ গুয়ার্দিওলার (Pep Guardiola) দখলে। রিয়াদ মাহরেজ (Riyad Mahrez) সিটিকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেয়। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের খেলা অনেক উন্নত করে লাইপজিগ। তাদের হয়ে জোসকো গ্যাভারদিওল (Josko Gvardiol) খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনে।


লাইপজিগে খেলার প্রথমার্ধের মাঝপথেই সিটি লিড নিয়ে নেই। নিজের অর্ধে জাভার শ্লেগারের (Xaver Schlager) একটি আলগা পাস মাঝপথে চলে আসে সিটি খেলোয়াড়ের পায়ে।


জ্যাক গ্রিলিশ (Jack Grealish) দ্রুত বলটি ধরে এগিয়ে নিয়ে যান এবং মাহরেজের জন্য গোলের বল সাজিয়ে দেন। লাইপজিগের গোলপোস্টের নীচের কোণে জোড়ালো শটে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি মাহরেজ।


প্রথমার্ধে ম্যাচের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল সিটির হাতে কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই, বুন্দেসলিগা-র (Bundesliga) দল তাদের প্রতিপক্ষের উপর চাপ বারানো শুরু করে।


আরও পড়ুন: IFA: কোটা সিস্টেমে সন্তোষের দল! ক্রীড়ামন্ত্রীর এই অভিযোগে কী জবাব আইএফএ-র


বেনজামিন হেনরিকস (Benjamin Henricks) একটি দুর্দান্ত সুযোগ মিস করেন। ডমিনিক সোবোসজলাইয়ের (Dominic Szoboszlai) তাকে বক্সের মধ্যে পাশ সাজিয়ে দিলেও তিনি পোস্টের ঠিক পাশ দিয়ে মেরে বল বাইরে পাঠিয়ে দেন।


এরপরই তাদের চাপের আরও বৃদ্ধি পায়। ২০ মিনিটের মধ্যে, বক্সের মধ্যে একটি ক্রসকে হেড করেন ক্রোয়েশিয়ান (Croatia) ডিফেন্ডার গ্যাভারদিওল। ভিরের মধ্যে সবার উপরে উঠে জালে বল জড়িয়ে দেন তইই। গ্যালারি জুড়ে ভক্তদের উন্মাদনা লাইপজিগের খেলোয়াড়দের মধ্যে নতুন উদ্যমের সঞ্চার করে।


আরও পড়ুন: WATCH | Ivana Knoll: ব্রাকে বাই বলে শুধুই ব্ল্যাক টেপ! ইফানা যেন উর্ফি, দরদর করে ঘামছে নেটপাড়া!


সিটির জন্য বিপত্তি


প্যারিস সেন্ট-জার্মেই-এর (Paris Saint-Germain) মতোই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার সিটির জন্য যে কোনও পরাজয় অতিরিক্ত যন্ত্রণা বয়ে আনে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় তাঁদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা বহুবার ধাক্কা খেয়েছে।


লিপজিগ এর আগে ইউরোপে বহু বড় অঘটন ঘটিয়েছে। খেলার দ্বিতীয়ার্ধে সিটি স্কোয়াডের মধ্যে লাইপজিগের পরবর্তী শিকার হওয়ার স্পষ্ট ভয় দেখা যায়।


প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয়ের প্রতিযোগিতায় এখনও লড়াই বাকি সিটির। সেই কারণেই জার্মানিতে প্রথম লেগের ম্যাচে নিজেদের সবকিছু বাজি রেখে জয়ের রাস্তায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি সিটি। স্পষ্টতই পরের মাসে ম্যানচেস্টারে  নিজেদের ঘরের মাঠের ফিরতি লেগের খেলায় জয় তুলে নেওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তারা।