IFA: কোটা সিস্টেমে সন্তোষের দল! ক্রীড়ামন্ত্রীর এই অভিযোগে কী জবাব আইএফএ-র
সদ্য সমাপ্ত সন্তোষ ট্রফিতে পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই হেরে প্রবল সমালোচনার মুখে আইএফএ।
দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়: সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার ব্যর্থতার কারণ কোটার নিরিখে দল নির্বাচন। মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করে আইএফএকে বিঁধেছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই ক্রীড়ামন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে বঙ্গ ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা জানিয়ে দিল ক্রীড়ামন্ত্রীর মন্তব্যের সঙ্গে সহমত নন তারা। যোগ্যতার ভিত্তিতেই কোচ ও ফুটবলার বাছা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত সন্তোষ ট্রফিতে পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই হেরে প্রবল সমালোচনার মুখে আইএফএ। এরই মাঝে মঙ্গলবার মোহনবাগান ক্লাবে ক্রীড়া গ্রন্থাগার উদ্বোধনে গিয়ে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেছিলেন, 'কোটার ভিত্তিতে ফুটবলার ও কোচ বাছাতেই এই সমস্যা'। মোহনবাগান লনে উপস্থিত সাংবাদিকদের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলে যান, "সন্তোষে বাংলার হার দেখতে কষ্ট হচ্ছে। আশা করি, আগামী দিনে যোগ্যদের নিয়ে দল গঠিত হবে। কোটার ভিত্তিতে নয়'।
ক্রীড়ামন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরেই তোলপাড় পড়ে যায় ময়দানে। ফুটবলের পাশাপাশি রঞ্জি ট্রফি ফাইনালে বাংলার ব্যর্থতা নিয়েও মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী। তাঁর এই মন্তব্যের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই আইএফএ খোলা চিঠিতে জানিয়ে দিল তাঁর মন্তব্যের সঙ্গে একমত নয়। নিয়মের মধ্যে থেকেই দল বাছা হয়েছে। এ লাইসেন্স প্রাপ্ত ও তিন প্রধানে সাফল্যের সঙ্গে কোচিং করানো বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যকে বেছেছেন প্রাক্তন ফুটবলারদের নিয়ে গঠিত কমিটি। সব ক্লাবকে চিঠি পাঠিয়ে শিবিরে ফুটবলার পাঠাতে বলা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে সেরাদের নিয়েই দল তৈরি করেছেন কোচ। তিন পাতার চিঠিতে নিজেদের বক্তব্য জানান সচিব অনির্বাণ দত্ত।
জি ২৪ ঘণ্টার তরফে ফোনে যোগাযোগ করা হলে, আইএফএ সচিব বলেন, "সম্ভবত ক্রীড়ামন্ত্রী আমাদের দল গঠনের পদ্ধতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। তাই তাঁকে কী ভাবে রাজ্য দল নির্বাচিত হয়, সে সম্পর্কে বিশদে জানিয়ে চিঠি দিলাম। উনি কোটা সিস্টেম বলেছিলেন। তার সঙ্গে আমরা একমত নই। মাননীয় ক্রীড়ামন্ত্রী বিষয়টি বুঝতে পারলে আমাদের সুবিধা। কারণ এ রকম ভিত্তিহীন অপবাদ তাঁর দিক থেকে ধেয়ে এলে সাধারণ ক্রীড়াপ্রেমীরাও প্রভাবিত হতে পারেন'।
আরও পড়ুন: Bjorn Borg: অপমানিত টেনিস লেজেন্ড! ত্যাগ করলেন মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চ, কিন্তু কেন?
রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীর ভাই আইএফএ-র ভাইস প্রেসিডেন্ট। ক্রীড়ামন্ত্রীর তোপে সে ক্ষেত্রে তো তাঁর ভাইও পড়লেন? এই প্রশ্ন করা হলে আইএফএ সচিব কোনও মন্তব্য করতে চাননি। শেষ পর্যন্ত এই বিতর্কের ঝড় কোথায় গিয়ে থামে তা দেখার। তবে কোটা সিস্টেমে দল গড়া প্রসঙ্গে ক্রীড়ামন্ত্রীর বক্তব্যে ক্ষুব্ধ আইএফএ-র একটা বড় অংশ।