ওয়েব ডেস্ক: মাইকেল ফেল্পস-সিমোনে বাইলসরা দেশকে যতই গর্বিত করুন না কেন, করের হাত থেকে রেহাই নেই। মোটা টাকার ট্যাক্স বিল অপেক্ষা করছে তাঁদের জন্য। অলিম্পিক থেকে যা রোজগার হচ্ছে তার একটা বড় অংশই মার্কিন খেলোয়াড়দের কর দিতে বেরিয়ে যাবে। আমেরিকার ভিকট্রি ট্যাক্সের ফাঁক গলে যে সোনাজয়ীরও বেরোনোর উপায় নেই। মাইকেল ফেল্পস, ৫ সোনা, কর - ৩৭ লাখ। সিমোনে বাইলস, ৪ সোনা, কর - ৩০ লাখ। রিও অলিম্পিকে অন্যতম সফল দুই মার্কিন তারকা। দেশে ফিরে কটা দিন যে সাফল্যের আস্বাদ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করবেন তার জো নেই। কারণ, দু-জনের জন্যই অপেক্ষা করছে মোটা অঙ্কের ট্যাক্স বিল। রিওয়ে পদক তালিকায় শীর্ষে আমেরিকা। শুধু ফেল্পস বা বাইলস নয়। সব সফল মার্কিন খেলোয়াড়দেরই ঘরে ফিরে মেটাতে হবে ট্যাক্স।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন ১০০-এর পর ২০০ মিটারেও সোনা জিতলেন বিশ্বের দ্রুততম পুরুষ উসেইন বোল্ট



সোনা পেলে US অলিম্পিক কমিটি যে অর্থ দেয় ভারতীয় মুদ্রায় তার মূল্য ১৭ লাখ টাকা। রূপো এবং ব্রোঞ্জের ক্ষেত্রে প্রাপ্তির পরিমাণ যথাক্রমে প্রায় ১০ লাখ এবং ৭ লাখ টাকা। অলিম্পিকে সোনার পদকের ধাতব মূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা। রূপোর পদকের মূল্য ২০ হাজার ও ব্রোঞ্জ পদকের ধাতব মূল্য প্রায় ৩০০ টাকা। কোনও মার্কিন খেলোয়াড় যদি অলিম্পিকে একটি পদক পান তা হলে তাঁকে কত টাকা কর দিতে হবে তা কষে বের করেছে আমেরিকান ফর ট্যাক্স রিফর্ম নামে একটি সংগঠন। তারা বলছে, সোনার পদক পেলে একজন মার্কিন অলিম্পিয়ানকে গড়ে ৭ লাখ টাকা  ট্যাক্স দিতে হয়। রূপো এবং ব্রোঞ্জ জয়ীর ক্ষেত্রে করের পরিমাণ দাঁড়ায় যথাক্রমে ৪ লাখ এবং ৩ লাখ টাকা।


আরও পড়ুন ভারত ব্যাডমিন্টনে সিন্ধুর হাত ধরে পদক পাচ্ছে 'সক্রেটিস'-এর জন্য!



অধিকাংশ দেশই তাদের খেলোয়াড়দের অলিম্পিক প্রস্তুতির জন্য খরচে ভর্তুকি দেয়। অলিম্পিক থেকে আয়ের ওপর করও দিতে হয় না। কিন্তু, বড় ব্যতিক্রম আমেরিকা। অধিকাংশ মার্কিন ক্রীড়াবিদ নিজের খরচে ট্রেনিং করেন। কঠোর পরিশ্রমের পর তাঁরা যখন অলিম্পিকের ভিকট্রি স্ট্যান্ডে উঠে দাঁড়িয়ে দেশকে গর্বিত করেন, তখনও তাঁদের ওপর এই করের বোঝা কেন? প্রশ্ন তুলেছে মার্কিন অলিম্পিক কমিটি। দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের তরফে মার্কিন সেনেট ও প্রতিনিধিসভায় অলিম্পিক ট্যাক্স বন্ধে বিলও আনা হয়েছে। তবে, ওই পর্যন্তই। পরিস্থিতি বদলায়নি। মাইকেল ফেল্পস-সিমোনে বাইলসদের এবারও বড় অঙ্কের টাকা কর হিসাবে সরকারি কোষাগারে জমা দিতেই হচ্ছে। আমেরিকায় অলিতে-গলিতে অলিম্পিক পদকজয়ীরা ঘুরে বেড়ান বলেই কি তাঁদের কদর অতটা নয়, যতটা আমাদের দেশে!


আরও পড়ুন  তাঁর বিয়ে না হয়ে গেলে, তিনি সোনম কাপুরকে বিয়ে করতে চাইতেন!