জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ডু-অর-ডাই ম্য়াচে পাঁচবারের ও গতবারের চ্য়াম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসকে (Chennai Super Kings) ছিটকে দিয়ে, রয়্য়াল চ্য়ালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (Royal Challengers Bengaluru) গিয়েছে প্লেঅফে। আরসিবি সেলিব্রেশনে ভাসলেও, তাদের চরম কটাক্ষ করেছেন প্রাক্তন ইংল্য়ান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভন (Michael Vaughan)। তাঁর সাফ কথা, প্রতিপক্ষ দলের কিংবদন্তি ক্রিকেটার এমএস ধোনির (MS Dhoni) সঙ্গে আরসিবি-র ক্রিকেটাররা খেলা শেষের পর যে, আচরণ করেছেন, তা কখনই মেনে নেওয়া যায় না। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Viral Video | Virat And Anushka: 'তিল তিল মরণেও জীবন অসংখ্য'...! মুষ্টিবদ্ধ হাত, চোখে জল বিরুষ্কার




ভন অত্য়ন্ত ঠোঁটকাটা এক ক্রীড়া বিশেষজ্ঞ। মুখের উপর অকপটে বলে দেলেন সাফ কথা। সেই ভন এক স্পোর্টস ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'আমরা জানি না যে, এমএস ধোনির শেষ ম্য়াচ ছিল কিনা! আরসিবি-র খেলোয়াড়দের উচিত ছিল মাঠে না ঘুরে কিংবদন্তি ধোনির জন্য় অপেক্ষা করা এবং তাঁর সঙ্গে হ্য়ান্ডশেক করা। ধোনি একজন আইকন। আগামিকাল সকালে সে যদি অবসেরর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে, তাহলে আরসিবি-র ক্রিকেটারদের নিজেদের কী বলবে, যে, আমাদের সেই সৌজন্য়টুকুও ছিল না যে, গিয়ে ধোনির হ্য়ান্ডশেক করি।'




আরসিবি এই ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট করে পাঁচ উইকেটে তুলেছিল ২১৮ রান। সেই রান তাড়া করে সিএসকে ৭ উইকেটে ১৯১ রানে গুটিয়ে যায়। শেষ ওভারে ধোনিদের কোয়ালিফাই করার জন্য় ১৭ রান প্রয়োজন ছিল। আরসিবি সর্বোচ্চ সিএসকে-কে ২০০ রান করার লাইসেন্স দিতে পারত। ১৬ রানের বেশি হজম করলেই ফাফদের বলতে হল গুডবাই। ফাফ বল তুলে দিয়েছিলেন যশ দয়ালকে। ধোনি যশকে প্রথম বলেই বিরাট ছক্কা হাঁকান। হাফ ব্য়াটে খেলেই তিন বল পাঠিয়ে দেন গ্য়ালারিতে। যদিও ধোনি তার পরের বলে আউট হয়ে যান। এই ছয় নিয়েই চলছে বিস্তর চর্চা। কারণ ধোনির দূরপাল্লার ছয় অতিক্রম করেছিল ১১০ মিটার দূরত্ব। চলতি আইপিএলে আর কোনও ব্য়াটার এত দূরে ছয় মারতে পারেননি। যদিও বহু ফ্য়ান মনে করছেন যে, এটিই ধোনির 'ফেয়ারওয়েল সিক্স' বা বিদায়ী ছয়! তাঁদের মতে ধোনিকে শেষবার তাঁরা আইপিএলে দেখে ফেললেন!


আরসিবি এখনও পর্যন্ত তিনবার আইপিএল ফাইনাল খেলেছে। রাহুল দ্রাবিড় থেকে শুরু করে কেভিন পিটারসেন, অনিল কুম্বলে, ড্য়ানিয়েল ভেট্টোরি, বিরাট , শেন ওয়াটসন (স্ট্য়ান্ড-ইন) ও ফাফ দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে ট্রফি কেউ দিতে পারেননি। আরসিবি-র পুরুষ দল ট্রফি না জিততে পারলেও, এই ফ্র্যাঞ্চাইজির মেয়েরা ইতিহাস লিখেছেন উইমেনস প্রিমিয়র লিগে। অভিষেকের পরের বছরেই স্মৃতি মন্ধানারা। আরসিবি-র ছেলেরা যা ১৬ বছরে করতে পারেননি, তা মাত্র দু'বছরে করে দেখিয়েছেন আরসিবি-র মেয়েরা। এবার বিরাটদের সামনে রয়েছে ফের ট্রফিতে কামড় দেওয়ার সুযোগ।  


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)