নিজস্ব প্রতিবেদন: ইটের বদলে পাটকেল? আপাত দৃষ্টিতে মিতালি রাজ বনাম রমেশ পাওয়ার দ্বন্দ্ব এই জায়গাতেই দাঁড়িয়ে। মঙ্গলবার বিসিসিআই-কে পত্রবোমা দিয়ে প্রথম বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন মিতালি। একদিনও গেল না, পাল্টা জবাব দিলেন রমেশ পাওয়ার। বুধবার ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সিইও রাহুল জোহরি ও জেনারেল ম্যানেজার সাবা করিমের সঙ্গে দেখা করে মিতালিকে নিয়ে নিজের সমস্যার কথা জানালেন ভারতীয় মহিলা দলের কোচ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ফের পৃথ্বী-ম্যাজিক, অজি-ভূমে অস্তিত্ব জাহির সচিনের উত্তরসূরির


মিতালি রাজের সঙ্গে যে তাঁর সম্পর্ক একেবারেই আন্তরিক ছিল না, সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন রমেশ পাওয়ার। তবে এরপর ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের সব থেকে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার নিয়ে কোচ যা বলেন, তা শোনার পর চোখ কপালে উঠেছে বোর্ড কর্তাদের। মিতালি রাজ না কি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালীনই অবসর নিতে চেয়েছিলেন!


রমেশ পাওয়ারের দাবি, পাকিস্তান ম্যাচের আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের হুমকি দিয়েছিলেন মিতালি রাজ। তাঁকে ওপেনিং থেকে সরিয়ে দেওয়ার কারণেই না কি এমন সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন তিনি।


আরও পড়ুন- বিসিসিআই-কে মিতালির পত্রবোমা, “কোচের কাছেই হেনস্থা”! উঠল পক্ষপাতেরও অভিযোগ


ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের ভিডিও অ্যানালিসিস্ট পুস্কর সওয়ান্ত ও ফিল্ডিং কোচ বিজু জর্জ কোচকে বলেছিলেন, ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তনের জন্য বিষন্নতায় ভুগছেন মিতালি। যা শোনার পর হতবাক হয়েছিলেন কোচ রমেশ পাওয়ার।  যেখানে নিউজিল্যান্ড ম্যাচে ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করে বড় জয় পেয়েছে দল, সেখানে স্রেফ নিজের কথাই ভাবছে মিতালি, এটা ভেবেই হতাশ হয়েছিলেন কোচ।


রমেশ পাওয়ারের অভিযোগ, মিতালি এমন আচরণ করত, যা দেখে তাঁর মনে হত মিতালিকেই সবার আগে প্রাধান্য দিতে হবে, তারপর ভারতীয় দল! মিতালিকে উদ্ধত বলেও কটাক্ষ করেছেন রমেশ পাওয়ার। যদিও এই বিষয়ে কিছুই জানতেন না হরমনপ্রীত কউর। তাঁকে এই বিষয়ে যেন কোনও কিছু না জানানো হয়, সেই পরিকল্পনাও ছিল কোচেরই। কোচ এও বলেন, সমস্যা সমাধানে পাকিস্তান ম্যাচে স্ট্র্যাটেজি বদলে মিতালিকে ওপেন করানো হয়। তবে এতেও না কি কাজ হয়নি। মিতালির সঙ্গে রমেশ পাওয়ারের দূরত্ব আরও বাড়তে থাকে। রমেশ পাওয়ারের দাবি, মিতালি দলছুটের মতো আচরণ করতেন এবং সবসময় একা একা থাকতেন। যার ফলে কোচ চেষ্টা করেও বাগে আনতে পারেননি মিতালিকে। আর এই সবের মধ্যে আখেরে ক্ষতি হয়েছে ভারতীয় দলেরই। কোচ-ক্রিকেটার দ্বন্দ্বের খেসারত এর আগেও দিয়েছে ভারত, এবারও তাই দিতে হল মহিলা দলকে। গ্রুপ স্টেজে অপরাজেয় থেকেও সেমিতে গিয়ে হার, বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন কফিন বন্দি করেই দেশে ফিরতে হয়েছে ভারতকে।