জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চলতি কলকাতা লিগে (CFL 2023) মহামেডানের (Mohammedan SC) সেন্টার ফরোয়ার্ড ডেভিড লাললানসাঙ্গা (David Lalhlansanga) বাকি দলের কাছে ত্রাস হয়ে উঠেছেন। প্রায় প্রতি ম্য়াচেই তিনি গোল করে হয়ে গিয়েছেন গোলমেশিন। এহেন ডেভিডের জোড়া গোলেই মহামেডান ২-১ গোলে ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal Vs Mohammedan) হারিয়ে দিল কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে। সুপার সিক্সের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ জিতে, খেতাবের আরও কাছে এগিয়ে গেল আন্দ্রে চের্নিশভের টিম। বিনো জর্জের শিষ্য়রা কোথাও যেন একটু পিছিয়ে পড়লেন এই হারের পর। বিনো ম্যাচের আগে বলেছিলেন যে, চের্নিশভের দল অত্য়ন্ত ভালো। মিনি ডার্বিতে জোর লড়াই হবে। বাস্তবে হল সেটাই। ইস্টবেঙ্গেল সাদামাটা ফুটবল খেলে হারিয়ে গেল ম্য়াচে!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Mohun Bagan Super Giant: দিমি ধামাকায় ১০ জনের ওড়িশাকে গোলের মালা মোহনবাগানের



৩০ পয়েন্ট পকেটে পুরে লিগের সুপার সিক্সে, এক নম্বর দল হিসাবে কোয়ালিফাই করেছিল ইস্টবেঙ্গল। ২৯ পয়েন্ট নিয়ে সুপার সিক্সে এসেছিল মহামেডান। তবে দু'দিন আগে মূলপর্বে মহামেডান পাঁচ গোলের মালা পরিয়েছিল খিদিরপুরকে। ফলে লাল-হলুদের বিরুদ্ধে নামার আগে তাদের ঝুলিতে চলে আসে ৩২ পয়েন্ট। ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে সাদা-কালো ব্রিগেডের ঝুলিতে চলে এল ৩৫ পয়েন্ট। এদিন প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল একেবারে হতশ্রী ফুটবল খেলেছে। আর বিরতির আগেই তাদের হজম করতে হয়েছে জোড়া গোল। বৃষ্টিস্নাত কিশোর ভারতীতে ম্য়াচের পাঁচ মিনিটেই এগিয়ে যায় মহামেডান। লালরেমসাঙ্গার বাড়ানো বল ধরে ট্যাপ করে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ডেভিড। লিগের ১৬ নম্বর গোল চলে আসে মহামেডানের গোলমেশিনের পা থেকে। গোল খাওয়ার পর ইস্টবেঙ্গল কিন্তু গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তবে মহামেডানের গোলরক্ষকের সৌজন্যে অসাধারণ দু'টি প্রয়াস আটকে যায়। এরপর বিরতির আগে সেই লালরেমসাঙ্গা-লাললানসাঙ্গার জুটিতে মহামেডানের দ্বিতীয় গোল চলে আসে। লাল-হলুদের দু'জন ফুটবলারকে পায়ের ফাঁজে সরিয়ে ডেভিড দলের হয়ে দ্বিতীয় ও নিজের ১৭ নম্বর গোলটি করে ফেলেন।


(Zee 24 Ghanta ডিজিটাল এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ফলো করুন ক্লিক করে)


প্রথমার্ধেই মহামেডান ম্য়াচ পকেটে পুরে ফেলেছিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বিনো তিন পরিবর্তনের পথে হাঁটেন। গিলকে আনেন আদিলের জায়গায়। জেসন এবং বিষ্ণুকে নামান মোহিতোষ এবং কুঞ্জমের জায়গায়। দ্বিতীয়ার্ধের ৬০ মিনিটে ব্য়বধান কমায় ইস্টবেঙ্গল। শৌভিকের শট ইরশাদের হাতে লেগে যাওয়ায়, পেনাল্টি পায় লাল-হলুদ। সিনিয়র দলের নিয়মিত ফুটবলার নন্দকুমার সেকর গোল করেন। যদিও এরপর আর কোনও দলই কোনও গোল করতে পারেনি। সাত মিনিট ইনজুরি টাইম পেয়েও কোনও লাভ হয়নি বিনো বাহিনীর।


আরও পড়ুন: Indian Football Team: ভারতের সঙ্গে ছেলেখেলা চিনের, সুনীলরা খেলেন পাঁচ গোল!



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)  ​