Mohun Bagan | Durand Cup 2024 Quarterfinal: প্রথমে ৬ গোলের থ্রিলার! ফয়সালা রুদ্ধশ্বাস পেনাল্টিতে, কাইথের হাতে সেমিতে মেরিনার্স
Mohun Bagan SG vs Punjab FC: বাংলার দল হিসেবে ডুরান্ড জয়ের স্বপ্ন জিইয়ে রাখল মোহনবাগান। কোয়ার্টার ফাইনালে তারা হারিয়ে দিল পঞ্জাবকে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) পারেনি, তবে মোহনবাগান (Mohun Bagan) পারল। গতবারের ডুরান্ড রানার্স লাল-হলুদ দু'দিন আগে শিলংয়ের মাঠে গিয়ে ২-১ হেরে ডুরান্ড কোয়ার্টার ফাইনাল (Durand Cup 2024 Quarterfinal) থেকে বিদায় নিয়েছিল। তবে গতবারের শিরোপাজয়ী মোহনবাগান চলে গেল সেমিফাইনালে। শুক্রবার পঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ে পর্যন্ত খেলার ফল ছিল ৩-৩। ফয়সালা হয় রুদ্ধশ্বাস পেনাল্টি শ্য়ুটআউটে। সেখানে সবুজ-মেরুন ৬-৫ গোলে জিতে চলে গেল শেষ চারে। ট্রফির আরও কাছে মেরিনার্স। মাঝে আর দুই ধাপ। আর তারপরেই ব্য়াক-টু-ব্য়াক ডুরান্ড জয়ের হাতছানি হোসে মোলিনার স্কোয়াডের সামনে।
আরও পড়ুন: মাত্র ২ দিন ইউটিউবে CR7, এখনই উপার্জন কত জানেন? নিজের দায়িত্বে ক্লিক করুন লিংকে...
একেবারে রুদ্ধশ্বাস কোয়ার্টার ফাইনাল দেখল জামশেদপুর। পঞ্জাব যে বেগ দেবে তা আগেই জানতেন মোহন কোচ মোলিনা। ম্য়াকলারেন-মার্টিন্স-কুরুনিয়ানকে পাবেন না জেনেই তাঁর ভরসা ছিল কামিন্স-পেত্রাতোসদের উপর। এদিন ১৭ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পেয়ে যায় পঞ্জাব। পেনাল্টিতে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন লুকা মাজসেন। তবে ব্য়বধান ৪৪ মিনিটের মধ্য়ে কমিয়ে দেয় মোহনবাগান। গ্রেগ স্টুয়ার্টের ধীর গতির গোলমুখী শট সুহেল ভাটের পা লেগে গোল হয়ে যায়। বিরতিতে খেলার ফল থাকে ১-১।
দ্বিতীয়ার্ধে নির্ধারিত সময়ের বাকি চারটি গোল। মোলিনা দ্বিতীয়ার্ধেই দল বদলে ফেলেন। দীপেন্দু বিশ্বাস, স্টুয়ার্ট, সুহেলকে বসিয়ে নামান শুভাশিস বসু, মনবীর সিং ও কামিন্সকে। মনবীর নেমেই গোলের দেখা পেয়ে যান। ৪৮ মিনিটে ২-১ এগিয়ে যায় মেরিনার্স। তবে ৬৩ মিনিটে ফিলিপ বুলেট শটে গোল শোধ করেন। খেলা তখন রোলারকোস্টার রাইডে পরিণত হয়েছিল। ২-২ স্কোরলাইনকে ভিদাল পঞ্জাবের হয়ে বদলে দেন ৩-২ ব্য়বধানে। এখানেও শেষ হয়নি নাটক। ৭৯ মিনিটে পঞ্জাবকে জাত চিনিয়ে দেন কামিন্স। মনবীরের ক্রস বুকে নামিয়ে গোল করেন তিনি। নির্ধারিত সময়ের পর রেফারি আরও সাত মিনিট যোগ করেছিলেন। কিন্তু ৯৭ মিনিট পর্যন্ত স্কোরলাইন থাকে ৩-৩। ডুরান্ড কাপে অতিরিক্ত সময় না থাকায় খেলা সরাসরি গড়ায় টাইব্রেকারে। আর এখানেই ত্রাতা হয়ে উত্তীর্ণ হন বিশাল কাইথ।
মোহনবাগানের হয়ে প্রথম শটই পোস্টে মারেন কামিন্স। তবে পঞ্জাবের হয়ে প্রথম শটে গোল করতে কোনও ভুল করেননি বিনীত। এরপর সবুজ-মেরুনের হয়ে পর পর গোল করেন মনবীর, লিস্টন, পেত্রাতোস, স্টুয়ার্ট, শুভাশিস বসু ও টম অলড্রেড। পঞ্জাবের ইভান এবং ধনচন্দ্রের শেষ দু'টি শট বাঁচিয়ে নায়ক হয়ে ওঠেন বিশাল।
আরও পড়ুন: পাঁচের বদলে ৬ দিনের টেস্ট এবার! আগে কি আদৌ হয়েছে এরকম? রইল অতীত থেকে বর্তমানের গল্প
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)