জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চলতি ডুরান্ড কাপে অপরাজেয় তকমা ছিল নর্থইস্ট ইউনাইটেডের। (NorthEast United vs East Bengal) সেই দলকেই টাইব্রেকারে ৫-৩ হারিয়ে ইস্টবেঙ্গল চলে গিয়েছে ডুরান্ড ফাইনালে! গত মঙ্গলবার যুবভারতীতে কার্লেস কুয়াদ্রাতের শিষ্য়রা অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন করে জ্বালিয়ে রেখেছেন লাল-হলুদ মশাল। এই নিয়ে ১৭ বার ডুরান্ড ফাইনাল খেলবে ইস্টবেঙ্গল। আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার যদি মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan SG vs FC Goa) যুবভারতীতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে, এফসি গোয়াকে হারিয়ে দিতে পারে, তাহলেই ফের আসবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। আগামী রবিবার তাহলে কাপযুদ্ধের ফাইনালই হবে বড় ম্য়াচ। সেক্ষেত্রে ১৯ বছর পর ফের ডুরান্ড ফাইনালে কলকাতা ডার্বি হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: CFL 2023: গুড়াপে ভয়ংকর গাড়ি দুর্ঘটনা! আহত সাদার্নের কোচ-কর্তা, হাসপাতালে ছুটছেন আইএফএ সচিব


গত ২৭ অগস্ট মোহনবাগান ৩-১ গোলে মুম্বই সিটি এফসিকে হারিয়ে খেলতে নামছে সেমিফাইনালে। এই ম্যাচের আগে পর্যন্ত কখনও মুম্বইকে হারাতে পারেনি মোহনবাগান। এবার ইতিহাস বদলে, ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে মেরিনার্স। কামিন্স-মনবীর-আনোয়ারদের গোলে স্মরণীয় জয় এসেছে জুয়ান ফেরান্দোর শিষ্যদের। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে স্মরণীয় জয় পেয়েও, আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নারাজ মোহনবাগান। সেমিফাইনালেগোয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে বাড়তি সতর্ক কোচ। ডিফেন্ডার ব্র্যান্ডন হ্যামিল ছাড়া পুরো দলই হাতে পাচ্ছেন তিনি। গোয়ার বিগত কয়েক'টি ম্যাচের পোস্টমর্টেম করে তাদের দুর্বলতা বার করেছেন সবুজ-মেরুনের ভিডিয়ো অ্যানালিস্টরা। অন্যদিকে ফেরান্দো মুম্বই ম্যাচের ভুলগুলো শুধরে নিতে চাইছেন। তিনদিনের ব্যবধানে দুটি কঠিন ম্যাচ খেলতে নামছে মেরিনার্স। তাই দলে দু'একটি পরিবর্তন হতে পারে বলেই জানিয়েছে মোবনবাগান। রণনীতিও বদল হতে পারে। ফাইনালের দরজায় কড়া নাড়ার আগে ফেরান্দো ও জেসন কামিংস তাঁদের ভাবনা জানিয়েছেন। মোহনবাগান সেই বিবৃতি পাঠিয়েছে মিডিয়াকে।


জুয়ান ফেরান্দো বলেছেন, 'মুম্বই-এর মতো গোয়াও যথেষ্ট ব্যালান্সড এবং ভাল দল। গতবারের গোয়ার সঙ্গে এবারের গোয়ার অনেকটা পার্থক্য আছে। ওদের কোচ নতুন। নোয়া, বরিস, উদান্ত, সন্দেশ, কার্ল ম্যাকহিউয়ের মতো ফুটবলাররা আছে। ফলে ওদের বাড়তি গুরুত্ব দিতেই হবে। আমাদের সামনে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ আছে। গোয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে খেলাটা তাই ভাল প্রস্তুতি ম্যাচ হবে। নানা কারণে আমাদের প্রাক মরসুম প্রস্তুতি ভাল করে হয়নি। সেরা ফর্মে পৌঁছতে তাই আরও কয়েক'টা ম্যাচ খেলতে হবে। মুম্বইকে হারালেও আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে পরের ম্যাচগুলিতে। ফাইনালে যেতে চাই। তবে চোট আঘাত বাঁচিয়ে। সেজন্যই দলের এবং ফর্মেশনের কিছু পরিবর্তন হয়তো করতে হতে পারে। মুম্বইয়ের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়েছি বলে গোয়াকেও হারাব, এরকম আত্মতুষ্টিতে আমি এবং আমার দল ভুগতে রাজি নয়। বলতে পারেন আমরা আত্ববিশ্বাসী, তবে আত্মতুষ্ট নই। কারণ প্রত্যেকটা ম্যাচ আলাদা দিনে হয়, আলাদা পরিস্থিতিতে হয়। গোয়ার প্রায় সব ম্যাচগুলোই দেখেছি। প্রাক-মরসুম প্রতিযোগিতা হলেও, ওদের খেলা সম্পর্কে একটা ধারণা আছে। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী যে, স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী খেলতে পারলে এবং গোলের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে আমরাই জিতব। গোয়াও ফাইনালে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ঝাঁপাবে। ফলে ম্যাচটা হাড্ডাহাড্ডি হবে। ম্যাচের শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়তে হবে জেতার জন্য। নির্ধারিত সময়ের ম্যাচ শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত সময়ের প্রতিটি মিনিটও গুরুত্বপূর্ণ।'


জেসন কামিংস বলছেন, 'আমরা ভারতের সেরা দল। যে কোনও দলকে আমরা হারানোর ক্ষমতা রাখি। ভারতের জাতীয় দলের সাত-আটজন সেরা ফুটবলার আমাদের দলে আছে। বিদেশি ফুটবলাররাও নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার জন্য নিজেদের তৈরি করছে। মুম্বইকে হারিয়ে আমরা বাড়তি আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছি। গোয়াকে হারানোর ব্যাপারেও তাই আমি আশাবাদী। ডুরান্ড ফাইনালে যাওয়াই আমাদের প্রথম লক্ষ্য। ওদিকেই এখন আমাদের যাবতীয় ফোকাস। আইএসএল বা এএফসি কাপের আগে, প্রস্তুতি টুর্নামেন্টে একটা ট্রফি যদি ঘরে আসে তাহলে দলের মনোবল বাড়ে। সেই চেষ্টাটা আমরা জারি রাখব। গোয়ার এবারের কোনও খেলা আমি দেখিনি। ফলে বলতে পারব না ওরা কোথায় কতটা শক্তিশালী বা দুর্বল। আমি নিজের এবং নিজের দলের খেলার উপর বেশি আস্থা রাখি। গোল করাটা আমার কাজ। গোল করলে যে কোনও স্ট্রাইকারের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়। অস্ট্রেলিয়াতে প্রচুর গোল করেছি। এখানে এসেও আমি গোল পেতে শুরু করেছি। তবে নিজের সেরা খেলাটা এখনও দিতে পারিনি। আমি সেরাটা দেওয়ার জন্য নিজেকে যত দ্রুত সম্ভব মানিয়ে নেবার চেষ্টা করছি। আরও কয়েকটা ম্যাচ লাগবে নিজের একশো শতাংশ দিতে। সবুজ মেরুন সমর্থকরা যেভাবে আমার উপর আস্থা রাখছেন বা যেভাবে আমাকে বা আমাদের সবাইকে মাঠে বা অনুশীলনে উদ্‌বুদ্ধ করছেন, তাতে গোল করে ওদের আনন্দ দেওয়াটাকে আমি লক্ষ্য হিসাবে নিয়েছি। ভারতের সেরা ক্লাবে খেলতে এসেছি। সবুজ- মেরুনের নতুন তারকা হতে চাই। মেরিনার্সদের আরও ভালবাসা পেতে চাই। আর সেটা পেতে গেলে গোল করতে হবে। জিততে হবে। ট্রফি পেতে হবে।' এখন দেখার আগামিকাল মোহনবাগান এফসি গোয়াকে হারাতে পারে কিনা!


আরও পড়ুন: East Bengal: কে নেভাবে এই লাল-হলুদ মশাল! অবিশ্বাস্য প্রত্য়াবর্তনে ইস্টবেঙ্গল ডুরান্ড ফাইনালে



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)