জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সচিন তেন্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) পর ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সুপারস্টারের নাম এমএস ধোনি (MS Dhoni)। ট্রফিরি নিরিখে দেশের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ অধিনায়ক ধোনি। তিনি নিজেকে নিয়ে গিয়েছেন গগনচুম্বী উচ্চতায়। ধোনি নিজেকে বাইশ গজের সর্বকালের অন্যতম সেরা উইকেট-কিপার ব্যাটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। জনপ্রিয়তার নিরিখে বিশ্বের প্রথমসারির অ্যাথলিটদের মধ্যে আজও ধোনির নাম উচ্চারিত হয়। ইনস্টাগ্রামে কার্যত নিস্ত্রিয় ধোনির ফলোয়ার্স সংখ্যা ৪৪.২ মিলিয়ন। স্টক গ্রো সম্প্রতি ধোনির মোট সম্পত্তির পরিমাণের রিপোর্ট নিয়ে এসেছে সামনে। যা দেখে বোঝা যাচ্ছে, কয়েক বছর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও  টাকার গদিতেই অধিষ্ঠিত 'ক্য়াপ্টেন কুল'! তাঁর সম্পত্তির অঙ্ক মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতোই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Sourav Ganguly: শুভেচ্ছায় ভাসছেন মহারাজ, এবার বঞ্চিতদের করাবেন পড়াশোনা! বিশেষ দিনে বিরাট ঘোষণা


ধোনি তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারে অধিকাংশ সময়ই ছিলেন বোর্ডের এ প্লাস ক্যাটাগরির ক্রিকেটার। ধোনি ২০২০ সালের স্বাধীনতা দিবসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বুট জোড়া তুলে রাখলেও, খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন আইপিএলে। আইপিএলের বেতন ছাড়াও একাধিক ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট করেন তিনি। রয়েছে নিজস্ব প্রোডাকশন হাউস, হোটেল ব্যবসা ও  বেঙ্গালুরুতে স্কুল। আইপিএলে প্রতি ম্য়াচ খেলার জন্য ক্য়াপ্টেনের পকেটে ঢোকে ৮৫.৭১ লক্ষ টাকা। ঝাড়খণ্ড সরকারকে, যে মানুষটা চলতি অর্থবর্ষে শুধু অ্যাডভান্স ট্যাক্সই দিয়েছেন ৩৮ কোটি টাকা, তাহলে তার মোট সম্পত্তি কত হতে পারে! ধোনি বছরে ১৩০ কোটি টাকার ওপরেই উপার্জন করেন। ব্র্যান্ড প্রমোশনের অন্যতম বিশ্বস্ত মুখ ধোনি। Dream11, GoDaddy, Mastercard, Yippee Noodles, Gulf Engine Oil এর বিজ্ঞাপন করার জন্য তিনি পেয়ে থাকেন প্রায় ৫০ কোটি টাকা। প্রতিটি ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্টের জন্য তিনি নিয়ে থাকেন চার থেকে ছয় কোটি টাকা। ধোনির একটি ফার্মহাউস রয়েছে রাঁচিতে। সাত একর বিস্তৃত সেই রাজপ্রাসাদের মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকার কাছাকাছি। এছাড়াও ধোনির কাছে বিশ্বের তাবড় ব্র্যান্ডের গাড়ি ও বাইক রয়েছে। যার মূল্যও কোটি কোটি টাকা। ধোনির মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১০৪০ কোটি টাকা বলেই জানাচ্ছে স্টক গ্রো।




ধোনির চেয়ে মোট সম্পত্তির পরিমাণে এগিয়ে তাঁর প্রিয় চিকু। অর্থাৎ বিরাট কোহলি। কোহলি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের 'এ প্লাস' ক্যাটেগরির ক্রিকেটার। রোহিত শর্মা, জসপ্রীত বুমরা ও রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গেই কোহলি বার্ষিক ৭ কোটি টাকা উপার্জন করেন বিসিসিআই থেকে। টেস্টপিছু কোহলি ম্যাচ-ফি পান ১৫ লক্ষ টাকা। পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে সেই অঙ্কটা ৬ লক্ষ টাকা ও দেশের জার্সিতে টি-২০ ম্যাচ খেলে তিনি পান ৩ লক্ষ টাকা। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের আইকন তিনি। আইপিএলের ১৪ ম্যাচের জন্য তাঁর আরসিবি-র সঙ্গে চুক্তি ১৫ কোটি টাকার। ব্ল্যু ট্রাইব, ইউনিভার্সাল স্পোর্টসবিজ, এমপিএল ও স্পোর্টস কনভোর মতো সাতটি স্টার্ট-আপ ব্র্যান্ডকে এনডোর্স করেন কোহলি। তাঁর মোট ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্টের সংখ্যা ১৮টি। প্রতিটি বিজ্ঞাপন শ্যুট করার জন্য বার্ষিক সাড়ে সাত থেকে দশ কোটি টাকা নিয়ে থাকেন তিনি। বলিউড ও স্পোর্টস ইন্ডাস্ট্রি মিলিয়ে এত টাকা আর কোনও সেলেব চার্জ করেন না। ব্র্যান্ড এনডোর্স করেই কোহলির পকেটে ঢোকে ১৭৫ কোটি টাকা।


এবার আসা যাক সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইনস্টাগ্রামে কোহলি বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত পোস্ট করার জন্য ৮.৯০ কোটি টাকা নিয়ে থাকেন। ট্যুইটারের ক্ষেত্রে ২,৫ কোটি টাকা। কোহলির মুম্বই (৩৪ কোটি টাকা) ও গুরুগ্রামে (৮০ কোটি টাকা) দু'টি প্রাসাদোপম বাড়ি রয়েছে। ৩১ কোটি টাকার গাড়িই আছে তাঁর। এসব বাদ দিলেও কোহলি আরও কিছু গল্প রয়েছে। তিনি এফসি গোয়া ফুটবল ক্লাবের অন্যতম মালিক। টেনিস টিম ও প্রো-রেস্টলিং টিমও আছে কোহলির। কোহলি রেস্তোরাঁ ব্যাবসাও চালিয়ে যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে কোহলির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা। কোনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার এত টাকা উপার্জন করেন না। ধোনি এবং কোহলির ফারাক মাত্র ১০ কোটি টাকার।


আরও পড়ুন:Mohammed Shami VS Hasin Jahan: হাসিনের পাশে সুপ্রিম কোর্ট, বিশ্বকাপের আগেই গ্রেফতার হতে পারেন শামি!