Mohammed Shami VS Hasin Jahan: হাসিনের পাশে সুপ্রিম কোর্ট, বিশ্বকাপের আগেই গ্রেফতার হতে পারেন শামি!
শামির চাপ বাড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ। সেই বেঞ্চের সদস্য ছিলেন বিচারপতি পিভি নরসীমা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র। তাঁরা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের ৮ মার্চ যাদবপুর থানায় প্রথমে শামির বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় অভিযোগ করেন হাসিন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হাতে আর মাত্র কয়েকটা মাস। আগামী অক্টোবর মাস থেকে দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ (ICC ODI World Cup 2023) খেলতে নামবে রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)-বিরাট কোহলির (Virat Kohli) টিম ইন্ডিয়া (Team India)। এহেন কাপ যুদ্ধের আগেই হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের (Rahul Dravid) এক নম্বর জোরে বোলার মহম্মদ শামি (Mohammed Shami) গ্রেফতার হয়ে যেতে পারেন! স্বভাবতই এমন খবরে বিসিসিআই (BCCI) কর্তাদের মাথায় হাত। কারণ 'সহেসপুর এক্সপ্রেস'-এর বিরুদ্ধে ফের একবার গার্হস্থ্য হিংসার (Domestic Violence) অভিযোগ এনেছেন স্ত্রী হাসিন জাহান (Hasin Jahan)। তারপরেই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এই কেস নিয়ে আলিপুর আদালতকে (Alipore Court) নির্দেশ দিয়েছে যে,আগামী এক মাস খানেকের মধ্যে সমস্যার সমাধান করতে হবে। যদি এর মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে ফেলা সম্ভব না হয়, তা হলে স্থগিতাদেশের ব্যাপারে নতুন করে ভাবতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে আলিপুর সেশন কোর্ট গ্রেফতারির বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ তুলে নিতে পারে এবং শামি বিশ্বকাপের আগেই গ্রেফতার হতে পারেন!
এমনকী স্থগিতাদেশের ব্যাপারে নতুন করে ভাবতেও বলেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এর আগে অবশ্য বলা হয়েছিল, কোনওভাবেই শামিকে গ্রেফতার করা যাবে না। তাঁর বিষয়টি বিচারাধীন, এখনও তাঁর নামে কোনও অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে নতুন এই নির্দেশের মানে হল, দ্রুত স্থগিতাদেশ তুলে নিতে হবে। আর সেটা হলে সেক্ষেত্রে শামিকে গ্রেফতারের কোনও সমস্যা তৈরি হবে না।
আরও পড়ুন: Virat Kohli and Rohit Sharma, WI vs IND: প্রত্যাশামতোই ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রামে বিরাট-রোহিত
আরও পড়ুন: Andy Roberts vs Kapil Devils: 'কপিলস ডেভিলস' কপাল জোরে বিশ্বকাপ জিতেছিল! ৪০ বছর পরেও অ্যান্ডি রবার্টসের কটাক্ষ
শামির চাপ বাড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ। সেই বেঞ্চের সদস্য ছিলেন বিচারপতি পিভি নরসীমা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র। তাঁরা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের ৮ মার্চ যাদবপুর থানায় প্রথমে শামির বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় অভিযোগ করেন হাসিন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি ওঠে আলিপুর আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে। তিনি ২০১৯ সালের ২৯ অগাস্ট শামিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন আলিপুর আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারপতি।
সেই রায়ের বিরুদ্ধে শামি পালটা আবেদন করেন নিম্ন আদালতের বিচারকের কাছে। এরপর ২০১৯ সালের ২ নভেম্বর পর্যন্ত শামির গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। যদিও এরপর চার বছর কেটে গেলেও, এই গার্হস্থ্য হিংসার মামলার কোনও শুনানিও হয়নি। তবে এবার দ্রুততার সঙ্গে মামলাটি মিটিয়ে ফেলতে হবে। সেই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন হাসিন। কলকাতা হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে হাসিনকে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার নির্দেশ দেন। হাসিন এর পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখানেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, তাদের এই নির্দেশের এক মাসের মধ্যে সমস্যার সমাধান করতে হবে আলিপুর সেশন কোর্টকে। সেটা সম্ভব না হলে স্থগিতাদেশ সংশোধন করতে হবে কিংবা তুলে নিতে হবে। আর তেমনটা হলে শামিকে গ্রেফতার করতে আর কোনও বাধা থাকবে না।
শামির বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের একাধিক অভিযোগ করেছিলেন হাসিন। তাঁর দাবি ছিল, শামি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পণ দেওয়ার জন্য গার্হস্থ্য হিংসা করতেন। এমনকি তারকা জোরে বোলারের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, একাধিক মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। বিদেশ সফরে গিয়ে হোটেলের ঘরেই যৌনকর্মীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতেন বলেও অভিযোগ। শামির বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। যৌনকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য শামি নাকি একটি আলাদা মোবাইলও ব্যবহার করতেন। সেই মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছিল লালবাজার। এই মামলার ভিত্তিতেই কলকাতার একটি আদালত গত জানুয়ারি মাসে শামিকে নির্দেশ দেয়, প্রতি মাসে হাসিনকে ৫০ হাজার টাকা করে খোরপোশ দিতে হবে। এমন প্রেক্ষাপটে এই বিতর্কের জল কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার।