প্র্যাকটিস করেই সব শট খেলেছেন, জানালেন `ভারতের মিয়াঁদাদ`
নাইট শিবিরের নতুন অধিনায়ককে `হল অফ ফেম`-এ পৌঁছে দিল প্রেমেদাসা স্টেডিয়ামের এই ফাইনাল ম্যাচ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দীনেশ কার্তিক একেবারে চিরকালীন হয়ে থাকলেন `ভারতের মিয়াঁদাদ` হয়েই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে শেষ সেকেন্ডে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ভারত। ৮ বলে ২৯ রানের ইনিংস। স্ট্রাইক রেট ৩৬২.৫০। শেষ বলে ছয় মেরে দলকে ম্যাচ জিতিয়েছেন দীনেশ কার্তিক। যার সৌজন্যে নিদহাস ট্রফি জিতেছে 'ম্যান ইন ব্লু'রা। ম্যাচে শর্দুল ঠাকুরের অবিশ্বাস্য ক্যাচ, চহলের দূর্দান্ত স্পিন, উনদকারের ভাল ডেথ বোলিং, রোহিতের অর্ধ-শতরান, এই সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে দীনেশের ৮ বলে ২৯।
নাইট শিবিরের নতুন অধিনায়ককে 'হল অফ ফেম'-এ পৌঁছে দিল প্রেমেদাসা স্টেডিয়ামের এই ফাইনাল ম্যাচ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দীনেশ কার্তিক একেবারে চিরকালীন হয়ে থাকলেন 'ভারতের মিয়াঁদাদ' হয়েই।
আরও পড়ুন- নাইট অধিনায়কের ব্যাটে 'নাগিন ডান্স', নিদহাস ট্রফি জয় ভারতের
ক্রিজে এসে প্রথম বলেই রুবেলের লো ফুলটসকে সোজা ছয়। তারপর মিড-উইকেটের ওপর দিয়ে চার। তিন নম্বর বলে ব্যাকফুট থেকে আবারও ছয়। তারপর 'স্কুপ' করে চামচের মত রুবেলের ডেলিভারি তুলে দিলেন এগিয়ে আসা থার্ড ম্যানের মাথার ওপর দিয়ে। আর শেষ বলে যখন ৫ রান চাই, সৌম্য সরকারের ফুল লেন্থ ডেলিভারি উড়িয়ে দিলেন কভারের ওপর। ছয় মেরেই অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচ নিজের দখলে করে নিলেন কার্তিক। কীভাবে এমন শট খেললেন? নিদহাস ট্রফির ফাইনালের নায়ক জানালেন, "আমি এই সব শট প্র্যাকটিস করেছি।" একই সঙ্গে দীনেশ কার্তিক জানালেন, "বিগত কয়েক মাস দল যেভাবে আমার উপর আস্থা রেখেছে আমি খুশি।" ইয়ং ব্রিগেড নিয়ে এই ট্রফি না জিততে পারলে যে একরকম অবিচারই করা হত, সেকথাও অবলীলায় জানান দীনেশ।
আরও পড়ুন- 'বাউন্সার' বিতর্কে দুঃখপ্রকাশ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের
প্রসঙ্গত, ফাইনাল ম্যাচে দীনেশের ব্যাটিংকে কৃতিত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়কও। সাকিবের কথায়, "এই হার অবশ্যই দুঃখজনক। তবে, এটা থেকে শিক্ষা নেব আমরা। এই ম্যাচের ইতিবাচক শিক্ষাগুলি কোনও একদিন ট্রফি জিততে সাহায্য করবে আমাদের। সমস্ত কৃতিত্ব কার্তিকের।"