নিজস্ব প্রতিনিধি : নিলামে যাঁদের নেওয়ার জন্য ওত পেতে রেখেছিলেন ফ্রাঞ্চাইজি কর্তারা, এখন তাঁদের ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা। আইপিএলে প্রতিটি স্কোয়াডে চারজন করে বিদেশি রাখার নিয়ম। এই চারজন বিদেশির পারফরম্যান্সের উপর অনেক ক্ষেত্রেই নির্ভর করে টিমের জেতা-হারা। প্রচুর পরিমাণ অর্থ নেওয়ার পরও অনেক সময় সেই বিদেশি ক্রিকেটাররাই পারফর্ম করতে পারেন না। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এমন তিনজন ক্রিকেটার যাঁরা এবারের আইপিএলে প্রচুর সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু নিজেদের প্রমাণ করতে পারেননি। চলতি আইপিএলে চরম ব্যর্থ এমন তিনজন ক্রিকেটারকে দেখে নেওয়া যাক-


গ্লেন ম্যাক্সওয়েল- ভারতে তাঁর পারফরম্যান্স একেবারে খারাপ। এদেশে সর্বসাকুল্যে তাঁর ব্যাটিং গড় ১৯.৫৭। এবার প্রথম পাঁচটি ইনিংসে ম্যাক্সওয়েলের গড় ছিল মাত্র ১৯। এবং ছ'ওভার বল করে পেয়েছিলেন মাত্র একটা উইকেট। টানা পাঁচ ম্যাচে খারাপ পারফর্ম করেও তিনি দলে ছিলেন। এদিকে, কলিন মুনরো মাত্র দু'টো ম্যাচে খারাপ খেলেই দলের বাইরে চলে যান। মুনরোর ব্যাটিং গড় ছিল ৩৭। যেখানে ম্যাক্সওয়েলের গড় শেষ পর্যন্ত ছিল মাত্র ২৫।


অ্যারন ফিঞ্চ- টি-২০ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান (১৫৬) করার রেকর্ড তাঁর পকেটে। এবার আইপিএল নিলামে পাঞ্জাব তাঁকে নিয়েছিল ৬.২ কোটি টাকার বিনিময়ে। মিডল অর্ডারে নেমে প্রথম ছ'ম্যাচে ফিঞ্চের গড় মাত্র ছয়। মাঝে তাঁকে বসিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাঞ্জাব ম্যানেজমেন্ট। ফিরে এসে তিন ম্যাচে ফিঞ্চের গড় মাত্র ৩৫.৩৩। 


বেন লাফলিন- বাংলাদেশ প্রিমিয়র লিগে বোলার হিসাবে দারুন পারফর্ম করেছিলেন। রাজস্থান ম্যানেজমেন্ট তাঁকে ব্যাক-আপ বোলার হিসাবে রেখেছিল। কিন্তু জোফরা আর্চার চোট পাওয়ার পরই লাফলিনের শিঁকে ছেড়ে। প্রথম তিন ম্যাচে তাঁর ইকোনমি রেট ছিল ১০.৮৫। পেয়েছিলেন তিন উইকেট। এর পর জোফরা চোট সারিয়ে ফিরে আসার পরও দলে সুযোগ পেতে থাকেন লাফলিন। তাঁর বোলিং গড় ছিল ৯.৩৩। তার পর দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। জোফরা ফিরে আসার পর দু'ম্যাচে ছয় উইকেট পান।