রিও-র `ব্যর্থতম` অ্যাথলিট অলিম্পিকে সুযোগ পেয়েছেন কেন জানেন?
খেলায় হার জিত থাকে। আবার এটাও ঠিক স্কোরবোর্ডের বাইরে যদি জয়ী-পরাজিত বলে কিছু থাকে সেটা হল সেই খেলাটাই। কিন্তু কিছু কিছু ব্যর্থতা থাকে যেগুলো থেকে যায়। শেষ স্থানে শেষ করা, ধরাশায়ী হয়ে হেরে যাওয়ার বাইরেও যদি কিছু থাকে সেটা হল দেশের সম্মানে আঘাত হওয়া। ব্যর্থতম তিনিই হন। এই যেমন ছবিতে যে সাঁতারুকে দেখতে পাচ্ছেন তিনি হলেন রোবেল কিরোস হাবাতে।
ওয়েব ডেস্ক: খেলায় হার জিত থাকে। আবার এটাও ঠিক স্কোরবোর্ডের বাইরে যদি জয়ী-পরাজিত বলে কিছু থাকে সেটা হল সেই খেলাটাই। কিন্তু কিছু কিছু ব্যর্থতা থাকে যেগুলো থেকে যায়। শেষ স্থানে শেষ করা, ধরাশায়ী হয়ে হেরে যাওয়ার বাইরেও যদি কিছু থাকে সেটা হল দেশের সম্মানে আঘাত হওয়া। ব্যর্থতম তিনিই হন। এই যেমন ছবিতে যে সাঁতারুকে দেখতে পাচ্ছেন তিনি হলেন রোবেল কিরোস হাবাতে।
আরও পড়ুন-পদক হাতাছাড়া হওয়ার পর কী বললেন দীপা কর্মকার
ইথিওয়িপিয়ার এই সাঁতারু একটা রেকর্ড গড়েন। অলিম্পিকের ইতিহাসে তিনিই দ্বিতীয় ধীরগতির সাঁতারু। পুরুষদের ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে সবার শেষে ৫৯ নম্বরে শেষ করেন রোবেল। সময় লেগেছে ১ মিনিট ০৪.৫৯ সেকেন্ড। হিট জেতা অস্ট্রেলিয়ার কাইল চামার্সের (৪৭.৯০ সেকেন্ড) চেয়ে ১৭ সেকেন্ড বেশি সময় লাগে। এই ইভেন্টের ৫৯জন প্রতিযোগীর মধ্যে ৫৯তম হয়েছেন রবেল। রোবেল এতটাই পরে শেষ করেন যে অনেকেই অবাক হয়ে যান। সবার একটাই প্রশ্ন, ইনি অলিম্পিকের মত সর্বোচ্চ মঞ্চে যোগদানের যোগ্যতা পান কী করে! সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে নাম দেওয়া হয় তিমি।
২৪ বছরের রবেল দেখতে গোলগাল। মেদ আছে। ওজনও বেশ। সাঁতারু সুলভ নয় মোটে। বিশ্ব সাঁতারের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিনার বিশেষ আমন্ত্রণে রিওতে আসা। জাননে কেন রোবেল অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। আসলে, ইথিওপিয়ার সাঁতার সংস্থার প্রেসিডেন্টের ছেলে তিনি। যতই হোক প্রেসিডেন্টের ছেলে হলে অলিম্পিকে যোগদানটা ফ্রি-তেই পেয়ে গেলেন।
প্রসঙ্গত, ২০০০ সিডনি অলিম্পিকে ইকুয়াটোরিয়াল গিনির এরিক 'দ্য এল' মুসাম্বানির কথা। সেবার ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল ১ মিনিট ৫২.৭২ সেকেন্ডে শেষ করে বিশ্বে ঝড় তুলেছিলেন তিনি। যে কোনো প্রতিযোগীর চেয়ে ৫০ সেকেন্ডে বেশি সময় নিয়েছিলেন।