নিজস্ব প্রতিবেদন- ১১৭ দিন পর ক্রিকেট ফিরেছিল। দর্শকহীন ম্যাচ। গ্যালারি শূন্য। তবুও ক্রিকেট ফেরাতেই খুশি হয়েছিলেন সমর্থকরা। ইংল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট ম্যাচ দিয়ে ফিরেছিল ক্রিকেট। করোনার প্রকোপ কমানোর জন্য বিশ্বের প্রায় সব দেশেই দীর্ঘদিন লকডাউন ছিল। ক্রিকেট তো দূরের কথা, মানুষের দৈনন্দিন জীবন যেন বোতলবন্দি হয়ে ছিল। করোনার প্রকোপ এখনও যে কমে গিয়েছে তা নয়। তবে সম্পূর্ণ লকডাউনের রাস্তা বন্ধ। এবার করোনাকে সঙ্গে নিয়েই বাঁচার লড়াই। লোকে বলছে, নিউ নরমাল। মাস্ক, স্যানিটাইজার সঙ্গে নিয়েই নতুন লড়াই। চারপাশের সব কিছুই বদলে গিয়েছে। কিছুই যেন আগের মতো নেই। ঠিক যেমনটা হয়েছিল বিশ্বযুদ্ধের পর। আর এই নতুন পৃথিবীতে নিজেদের যাত্রা জয় দিয়েই শুরু করল ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। এই জয় তাই জস বাটলার ও ক্রিস ওকসদের কাছে স্পেশাল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাকিস্তান দুই ইনিংসে ৩২৬ ও ১৬৯ করেছিল। অর্থাত্ প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত খেলার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ইউনিটের ভরাডুবি। তবে উইকেটের চরিত্র বদলেছে দ্রুত। ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্ট তাই জমে উঠেছিল। ম্যাচ দুলছিল পেন্ডুলামের মতো। পাকিস্তানি বোলারদের বিরুদ্ধে ওরকম উইকেটে দাঁড়িয়ে ২৭৭ রান তাড়া করা তাই ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের কাছে সহজ ছিল না। ১১৭ রানের মাথায় টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটসম্যানকে খুইয়ে ইংল্যান্ড তখন প্রবল চাপে। ম্যাচ ক্রমশ ঝুঁকে পড়ছিল পাকিস্তানের দিকে। কিন্তু জস বাটলার ও ক্রিস ওকস মিলে ইংল্যান্ডের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিলেন। বাটলার ৭৫, ওকস ৮৪*। ব্যস্, হাতের তালু থেকে শুকনো বালির মতো জেতার সুযোগ ফস্কে গেল পাকিস্তানের।


আরও পড়ুন-  সমুদ্র বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমেছিলেন, রোহিত শর্মার জন্য এল চমত্কার উপহার


ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলেন পাক স্পিনার ইয়াসির শাহ। পিচের ক্ষত ব্যবহার করে ইংরেজদের বিপদে ফেলছিলেন তিনি। ইয়াসিরকে সামলাতে টেস্টের মেজাজ ছেড়ে ওয়ানডে-র মুড তৈরি করলেন ওকস-বাটলার।  ১৩৮ বলে ১৩৯ রানের পার্টনারশিপ খেললেন। ১১৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলকে ২৫৬ রান পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে বাটলার আউট হলেন। ম্যাচ ততক্ষণে ইংল্যান্ডের পকেটে। ওকসকে আর ফেরাতে পারেননি পাকিস্তানের বোলাররা। পাকিস্তানের অধিনায়ক আজহার আলি তো মেনেই নিলেন, হাতে আসা সুযোগ ফস্কেছেন তাঁরা। পাকিস্তানের প্রাক্তন শাহিদ আফ্রিদির মুখেও একই কথা। এমন সুযোগ বারবার আসে না। ইংরেজদের তাদেরই ঘরের মাঠে হারানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু পাকিস্তান পারল না।