রশিদ খানকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার দাবি, টানাপোড়েনে দু`দেশের রাজনৈতিক মহল
রশিদকে ভারতে খেলানোর দাবিদাওয়া এতটাই জোরালো হয়ে ওঠে যে আফগান ক্রিকেট বোর্ডও চুপ করে বসে থাকতে পারেনি।
নিজস্ব প্রতিনিধি : আরবি অভিধানে তাঁর নামের অর্থ, সঠিক পথে পরিচালিত একজন। ওটা একটু বদলে নেওয়া যেত। কারণ, এই রশিদ শুধু নিজে সঠিক পথে চালিত হচ্ছেন না, গোটা দেশকে হাত ধরে আলোর দিশা দেখাচ্ছেন। রশিদ খান। আফগানিস্তানের রুক্ষ ভূমি ছাড়িয়ে যাঁর ব্যপ্তি এখন অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন- ইডেনে আফগান জলেবির প্যাঁচে আটকে গেল কলকাতা, ফাইনালে হায়দরাবাদ
এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স তো অনেকে করেন। কই, তাদের নিয়ে সবসময় এথ মাতামাতি তো হয় না! কিন্তু রশিদকে নিয়ে হচ্ছে। কারণ, তিনি একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সে রশিদ খান ক্রিকেটের অ্যাম্বাসাডর হয়ে উঠেছেন। কলকাতার বিরুদ্ধে তাঁর পারফরম্যান্স এখন চর্চার কেন্দ্রে। ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকরা তো রশিদ বলতে অজ্ঞান। কোনও কোনও ভারতীয় সমর্থক আবার রশিদকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার দাবিও তুলে দিলেন। কেউ কেউ আবার একটু মজা করে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে বললেন, আপনারা আমাদের রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে নিন। বদলে রশিদকে ভারতের হয়ে খেলার অনুমতি দিয়ে দিন। কলকাতার বিরুদ্ধে রশিদের পারফরম্যান্সের পর এসব তরজা সোশ্যাল সাইটজুড়ে চলছেই। তবে রশিদকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার দাবি একটা সময় এতটাই জোরালো হয়ে ওঠে যে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ হস্তক্ষেপ করেন। টুইটে লেখেন, ''এই ব্যাপারে সব টুইট আমি দেখেছি। কারও নাগরিকত্ব পাওয়ার সমস্ত দিক দেশের গৃহমন্ত্রকের উপর নির্ভর করে।'' অবশ্য এরকম একটা টুইট করে কিছুক্ষণ পরেই তা মুছে দেন সুষমা।
আরও পড়ুন- চোট বিতর্কে বিরাটের পাশে দাঁড়ালেন শাস্ত্রী
রশিদকে ভারতে খেলানোর দাবিদাওয়া এতটাই জোরালো হয়ে ওঠে যে আফগান ক্রিকেট বোর্ডও চুপ করে বসে থাকতে পারেনি। আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি আসরাফ ঘানি টুইট করেন, ''গোটা আফগানিস্তান তাদের হিরোকে নিয়ে গর্ববোধ করছে। ভারতীয় বন্ধুদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। ওদের দেওয়া মঞ্চে রশিদ পারফর্ম করে নিজের প্রতিভা দেখাতে পেরেছে। গোটা ক্রিকেট বিশ্বের কাছে ও সম্পদের মতো। কিন্তু আমরা ওকে কোথাও যেতে দেব না।''