নিজস্ব প্রতিবেদন : ছোট থেকেই কীট-পতঙ্গের বিষয়ে বেজায় আগ্রহ ধ্রুব প্রজাপতির। বড় হয়ে ভাল লাগার বিষয়বস্তুকেই বানিয়েছেন গবেষণার বিষয়বস্তু। ধ্রুবের নিজের ভাল লাগাকে নিয়ে সমানে কাজ করে যাওয়ার পেছনে যদি কেউ অনুপ্রেরণা জুগিয়ে থাকেন, তবে তিনি সচিন তেন্ডুলকর। ছোট থেকেই সচিনের পরিশ্রম ও অধ্যাবসায় অনুপ্রাণিত করেছে ধ্রুবকে। তাই নতুন প্রজাতির মাকড়সা আবিস্কারের পর নিজের রোল মডেলের নামেই নামকরণ করলেন প্রাণীবিজ্ঞানী। 'মারেঙ্গো সচিনতেন্ডুলকর'- ধ্রুবের আবিস্কৃত নতুন প্রজাতির এই মাকড়সা দেখা যায় কেরল, তামিলনাড়ু ও গুজরাটে। অপর রোল মডেল কেরলের শিক্ষাবিদ সেন্ট কুরিয়াকোস এলিয়াস চাভারার নামেও নিজের আবিস্কৃত অপর মাকড়সার নাম রাখলেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



গুজরাট ইকোলজিকাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশনে জুনিয়ার গবেষক ধ্রুব। মূলত মাকড়সা নিয়েই গবেষণা তাঁর। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের অজস্র প্রজাতির মাকড়সা নিয়ে পড়াশোনা করাই তাঁর কাজ। আর সেই কাজ করতে গিয়েই সম্প্রতি খবরের শিরোনামে উঠে আসেন এই প্রাণীবিজ্ঞানী। একেবারে নতুন প্রজাতির দুটি মাকড়সা আবিস্কার করেন তিনি। তাঁর এই আবিস্কার রুশ বিজ্ঞান জার্নাল অর্থ্রোপোডা সিলেক্টাতে প্রকাশিত হয়। কেরল, গুজরাট ও তামিলনাড়ুতে এখনও পর্যন্ত এই দুই ধরনের মাকড়সার হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে জানান তিনি।


মাকড়সার আবিস্কার ও নামকরণের পর স্বভাবতই উত্ফুল্ল বিজ্ঞানী ধ্রুব প্রজাপতি। তিনি বলেন, "মারেঙ্গো সচিনতেন্ডুলকর নাম কারণ সচিন তেন্ডুলকর আমার প্রিয় খেলোয়াড়।" মাস্টার ব্লাস্টারের খেলা দেখে বড় হওয়া ধ্রুব তাই প্রিয় খেলোয়াড়ের নামেই নামকরণের সিদ্ধান্ত নেন। ধ্রুব জানান, "২০১৫ সালে আমি মারেঙ্গো সচিনতেন্ডুলকরের বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছিলাম। কিন্তু গবেষণার কাজ ও চিহ্নিত্বকরণ নিশ্চিত করতে করতে ২০১৭ হয়ে গেল।" ধ্রুব জানান অপর স্পেসিমেনটি তাঁর সহকর্মী খুঁজে পান। তারপর দুজনে মিলে সেই মাকড়সার চিহ্নিত্বকরণ ও গবেষণায় কাজ করেন তাঁরা। তারপরে সেই মাকড়সার নাম মারেঙ্গো চাভারাপাতেরা রাখেন তিনি। কেরলের শিক্ষাবিদ সেন্ট কুরিয়াকোস এলিয়াস চাভারার নামে এই মাকড়সার নামকরণ করেন তিনি।


আরও পড়ুন - নিজের আদর্শ সচিনের রেকর্ড ভেঙে বিশ্ব ক্রিকেটের বিস্ময় বালিকা এখন শাফালি


ইতিমধ্যে বিশ্বের মাকড়সার বৈজ্ঞানিক নিবন্ধে স্থান পেয়েছে এই দুই মাকড়সার নাম। গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ে জুওলজিতে স্নাতকোত্তর করার সময়েই সবার নজর কারেন ধ্রুব। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যেই ৭৮টি আলাদা প্রজাতির মাকড়সা চিহ্নিত করে তাদের নথি বানিয়ে ফেলার মতো দুঃসাধ্য কাজ করেন ধ্রুব। এলাকায় মাকড়সাপ্রেমী হিসাবে পরিচিত ধ্রুব বলেন, "মাকড়সা চিহ্নিত করার মূল পদ্ধতি হল তাদের চোখটা পর্যবেক্ষণ করা। শক্তিশালী মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে এই কাজ করে থাকি আমরা।"