নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবার দুপুরে ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটারে রিও অলিম্পিকে পদকজয়ী ভারতীয় শাটলার পিভি সিন্ধু পোস্ট করলেন "I Retire" ....আর এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই পড়ে গিয়েছে। মাত্র ২৫ বছর বয়সে ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকার অবসরের ঘোষণায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। ডেনমার্ক ওপেনই তাঁর কেরিয়ারের শেষ টুর্নামেন্ট ছিল, বলে পোস্ট করেন সিন্ধু।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


হায়দরাবাদী ব্যাডমিন্টন তারকা পিভি সিন্ধুর গোটা পোস্টটি পড়লে অবশ্য তিনি ঠিক কী বলতে চেয়েছেন বা কী পরিস্থিতি থেকে তিনি অবসর নিতে চাইছেন তা স্পষ্ট হবে। সব মিলিয়ে তিনটি স্লাইডের একটি পোস্ট করেছেন পিভি সিন্ধু। প্রথম স্লাইডের ছবিতে সিন্ধু লেখেন, অবসর নিচ্ছি। সঙ্গে লেখা, ডেনমার্ক ওপেন ছিল আমার শেষ টুর্নামেন্ট।



এরপরের স্লাইডে সিন্ধু লেখেন, আমার এই সিদ্ধান্ত অনেক ফ্যানের হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। অনেকেই আমার অবসর নিয়ে ধন্দে পড়লেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ভেবেছি। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম।পাশাপাশি তিনি লিখেছেন, মহামারী আমার চোখ খুলে দিল। আমি অনেক পরিশ্রম করে একটা ম্যাচ জিততে পারি। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত লড়তে পারি। কিন্তু অদৃশ্য ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা দুঃসাধ্য। ভাইরাসের কবলে বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর খবরে মন ভালো নেই। প্রতিদিন এই খবর শুনতে শুনতে ক্লান্ত। এই নিয়ে নিজেকে শেষ কয়েকদিন অনেক প্রশ্ন করেছি। শেষমেশ অবসর নিলাম।


 



 ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে রুপোজয়ী বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর মহিলা ব্যাডমিন্টন তারকা একেবারে শেষ স্লাইডে সমস্ত ভক্তদের আশ্বস্ত করেছেন। আর সেখানেই চমক! তিনি লেখেন, আসলে ভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বজুড়ে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ভয়ের পরিবেশ থেকে অবসর নিলাম। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে আমদের সবাইকে ভাইরাসের বিরুদ্ধে আরও সচেতন হতে হবে। ফ্যানদের হয়তো আমি মিনি হার্ অ্যাটাক দিয়ে বসলাম! আসলে আমি বলতে চেয়েছি, অন্ধকার কাটিয়ে আবার আলো আসবে। করোনাকালের ডেনমার্ক ওপেনে না খেললেও আমি আমার অনুশীলন কিন্তু থামায়নি। বরং দ্বিগুন পরিশ্রম করছি। কঠিন পরিস্থিতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছি। ভয়কে জয় করে আমি উঠে দাঁড়ালাম। করোনাভাইরাস এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হাল না ছেড়ে আরও বেশি সচেতন হয়ে লড়াই করুন।



আরও পড়ুন - অস্ট্রেলিয়া সফরের আগেই কোহলিদের কিট স্পনসর পেয়ে গেল বিসিসিআই